সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: শাসকের সন্ত্রাসের অভিনব প্রতিবাদ জয়ী বিজেপি (BJP) প্রার্থীর। জয়ের শংসাপত্র ফেরত দিতে বিডিও অফিসে হাজির বিজেপির নয়া পঞ্চায়েত সদস্য। বুধবার অফিস বন্ধ থাকায় শংসাপত্র নিয়েই ফিরতে হয় তাঁকে। পালটা সৌজন্য দেখাল তৃণমূল।
গলসি ১ এর বুদবুদ পঞ্চায়েতে (Panchayat Election 2023) ১২৯ নম্বর সংসদে বিজয়ী বিজেপি প্রাথী বিমলা সরকার বুধবার তাঁর জয়ের শংসাপত্র ফিরিয়ে দিতে বুদবুদে বিডিও অফিসে হাজির হয়ে যান। কিন্তু বিডিও অফিস বন্ধ থাকায় শংসাপত্র ফেরত দিতে পারেননি বিমলাদেবী। জয়ের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শংসাপত্র কেন আচমকা ফেরত দিতে এলেন তিনি?
[আরও পড়ুন: গণনার দিন ব্যালট চুরি! রাজ্যের ১৫টি বুথে ফের নির্বাচনের নির্দেশ কমিশনের]
বিমলাদেবী জানান, “আমাকে জেতানোর জন্য আমার বুদবুদ সুকান্তপল্লির সাধারণ মানুষের উপর মঙ্গলবার রাত থেকেই অত্যাচার শুরু করেছে তৃণমূল। তাই আমি এই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারব না। তাই আমার জন্য তাদের কোনও অঘটন ঘটে যাক আমি তা চাই না। শাসক দলের যিনি ছিলেন তাঁকেই বিজয়ী ঘোষণা করে দেওয়া হোক। তাহলে হয়তো মানুষগুলো অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচবে।” জয়ী বিজেপি প্রার্থী আরও বলেন, “এখানে মানুষের মতামতের কোনও গুরুত্ব নেই। পেশি শক্তিই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে। আমি একজন সাধারণ নাগরিক হয়ে থাকতে চাই।” জনপ্রতিনিধি হয়ে এলাকার মানুষের সেবা করবেন বলে রাজনীতি এসেছিলেন সেটা আর হয়ে উঠল না বলে একরাশ আক্ষেপ ঝড়ে পড়ে তাঁর গলায়।
বুদবুদ পঞ্চায়েত ২২টা আসনের মধ্যে তৃণমূলের দখলে ১৮ আসন। বিজেপি ২ ও সিপিএমের ২টি আসন। তৃণমূল ব্লক সভাপতি জনার্ধন চট্টোপাধ্যায় পালটা সৌজন্য দেখিয়ে বিমলাদেবীর উদ্দেশ্যে অনুরোধ করেন, “বিজেপি প্রার্থীর কাছে আমি আবেদন করছি তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত বদল করুন। আসুন এক সঙ্গে উন্নয়নের কাজ করি। না হলে যারা আপনাকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন তাঁরা বঞ্চিত হবেন।”