নন্দন দত্ত ও শান্তনু কর: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) আগে বাকি আর মাত্র দু’দিন। তবু অশান্তি থামার লক্ষ্মণ নেই। এবার অনুব্রতহীন বীরভূমে (Birbhum) প্রাণ গেল এক বিজেপি কর্মীর। গলা টিপে খুন করে তাঁকে রাস্তায় ফেলে রেখে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কে বা কারা, কী উদ্দেশে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। অন্যদিকে জলপাইগুড়িতে বিজেপি জেলা সভাপতির গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চলানোর অভিযোগ উঠেছে। সবমিলিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগেও উত্তপ্ত রাজ্যের একাধিক জেলা। এনিয়ে রাজ্য়ে পঞ্চায়েত ভোটে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম দিলীপ মাহারা (৪৮)। তিনি মহম্মদবাজারের বি মণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত হিংলো গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির বুথ সহ-সভাপতি। যদিও এবার তাঁর স্ত্রী ছবি মাহারা নির্দলের প্রার্থী হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে দিলীপ মাহারকে। মহম্মদবাজারের সারেন্ডা গ্রামে রাস্তার উপর দেহ ফেলে রাখা হয়েছিল। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, বুধবার রাত থেকে দিলীপের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এদিন সকালে গ্রামে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের লোকের অভিযোগ, মৃতের দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গলায়ও দাগ রয়েছে। এছাড়া মৃতদেহের কিছু দূরে একটি গুলির খোলও পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। দেহ তুলতে দেয়নি বিজেপি। ঘটনাস্থলেই দেহ এখনও পরে আছে।
[আরও পড়ুন: ‘মা মমতা আমাকে তোদের দুয়ারে পাঠিয়েছেন’, তৃণমূলের প্রচারে ঘাটালে ‘মা লক্ষ্মী’]
বিজেপির অভিযোগ, দিলীপের স্ত্রী এই বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে চার নম্বর সংসদ থেকে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য বারবার শাসকদলের পক্ষ থেকে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। কিন্তু তা না করায় ওই এলাকার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি কালী বন্দ্যোপাধ্যায় দিলীপকে খুন করেছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কালীবাবু। তিনি বলেন,”আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। আমি এবং আমার দল সবরকম সহযোগিতা করবে।” পুলিশের দাবি, বিজেপি মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করছে। বীরভূমের পুলিশ সুপার রাজনারায়ন মুখোপাধ্যায় জানান, “তদন্ত শুরু হয়েছে।”
অন্যদিকে জলপাইগুড়িতে বুধবার রাত বারোটা নাগাদ বাহাদুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ফেরার পথে বিজেপি জেলা সভাপতির গাড়িতে গুলি চলে বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীর অভিযোগ, পরপর দুটো বিকট শব্দ হয়। তিনি প্রচার সেরে ফেরার পথে পরপর দু’টি শব্দ শুনে তিনি তাকিয়ে দেখেন একটি বাইকে হেলমেট পরা দুজন পিছনে ফিরছে। গাড়িতে কাঁচের টুকরো ছড়িয়ে। জেলা সভাপতি তারপর সোজা থানায় গাড়ি নিয়ে চলে যান। অভিযোগ পেয়ে থানায় পৌঁছন ডিএসপি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।