সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: ভোটের দিন দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নদিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত। পুনর্নির্বাচনের দিন সকাল হতে না হতেই মিলল জোড়া মৃত্যুর খবর। পাট খেত থেকে উদ্ধার নিখোঁজ বিজেপি কর্মীর দেহ। প্রাণ গেল রাজনৈতিক হিংসায় জখম সিপিএম প্রার্থীর শ্বশুরেরও। এছাড়া মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরেও আরও এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়।
নদিয়ার হরেনগরের পণ্ডিতপুরের বাসিন্দা অষ্টম মণ্ডল এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসাবে পরিচিত। বছর চৌত্রিশের ওই বিজেপি কর্মী গত শনিবার রাত থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। রবিবার দিনভর খোঁজাখুঁজির পরেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। সোমবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পাট খেতে তাঁর দেহ দেখতে পাওয়া যায়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের দাবি, রাজনৈতিক হিংসায় অপহরণ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। কে বা কারা এই ঘটনায় জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘গলা কাটা হবে’, পুনর্নির্বাচনের আগে বিজেপি প্রার্থীর বাড়ির সামনে উদ্ধার হুমকি পোস্টার]
এদিকে, ভোটের (Panchayat Election) দিন বোমার আঘাতে জখম সিপিএম প্রার্থীর শ্বশুর শুকুর আলি শেখেরও মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন নদিয়ার কৃষ্ণনগর কোতয়ালি থানার ভালুকা আনন্দবাসে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে। বেধড়ক মারধরও করা হয় তাঁকে। শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। দু’দিন ধরে চিকিৎসা চলে। তবে প্রাণরক্ষা হয়নি তাঁর। সোমবার সকালে মৃত্যু হয় শুকুর আলি শেখের। কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
এদিকে, ভোটের দিন মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের বরশিমুল অঞ্চলের চরবাজিতপুর গ্রামে মইদুল শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মী জখম হন। সোমবার সকালে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলেছেন মন্ত্রী রাজ্যের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান। এই নিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলায় ভোটের বলি মোট ৭।