সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের আগেই তিনি অ্যাকশনের কথা বলেছিলেন। ভোটের দিন বেনজিরভাবে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ভোট পরিদর্শনও করেছেন। কিন্তু দিনের শেষে যে ‘লাগামহীন হিংসার অভিযোগ’ উঠে আসছে তার প্রেক্ষিতে তাঁর পদক্ষেপ কী হবে? সেটা নিয়ে সেভাবে কিছুই বলতে পারলেন না রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। দিনের শেষে তিনি শুধু বলে গেলেন,”রাজ্যপালের যা যা করণীয়, সেটাই করব।”
পঞ্চায়েত নির্বাচনে বেলাগাম হিংসার অভিযোগ তুলে বিজেপি রাজ্যে ৩৫৫ বা ৩৫৬ ধারা জারি করার দাবি জানিয়েছে। বিজেপি (BJP) মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সরাসরি রাজ্যপালকে বিঁধে বলে দিয়েছেন, রাজ্যপালের বদান্যতায় রাজ্যে ক্ষমতায় আছে তৃণমূল (TMC)। অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা উচিত। তৃণমূল আবার বলেছে, রাজ্যে বিরোধীরা যে হিংসার কারবার করছে, বাংলাকে বদনাম করার যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সেই ষড়যন্ত্রে শামিল রাজ্যপালও। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কথায়, “বিজেপির দালাল রাজ্যপাল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে সমস্ত সীমা অতিক্রম করছেন। ভোট প্রচার শেষের পর হাত নাড়তে নাড়তে রাজনীতি করেছেন। বিরোধীদের হয়ে প্রচার করে বেড়িয়েছেন।” তাঁর কথায়, “১১ তারিখের পর কীভাবে উনি কলকাতা থেকে বেরোবেন? ব্যাগ গুছিয়ে রাখুন। বিমানের টিকিট বুক করে রাখুন। বাংলায় থাকার মতো মুখ থাকবে না এই রাজ্যপালের।”
[আরও পড়ুন: রেলকর্মীর মৃত্যু পরই দেহ নিয়ে টানাটানি দুই স্ত্রীর! শোরগোল কলকাতার হাসপাতালে]
তবে তাঁর দিকে অভিযোগের আঙুল উঠলেও রাজ্যপালকে বিশেষ বিচলিত মনে হয়নি। দিনভর একাধিক জেলায় ভোট পরিদর্শন করার পর সন্ধ্যায় রাজভবনে বসে তিনি ভোট হিংসার নিন্দা করেছেন বটে, তবে সেই নিন্দার ঝাঁজ ভোটের আগের দিনের তুলনায় কম ছিল। শুধু তাই নয়, এই নির্বাচনের পর তাঁর কী করণীয়, সে প্রসঙ্গও এড়িয়ে যান রাজ্যপাল। তিনি জানিয়েছেন, বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) দর্শনের অভিজ্ঞতা সংক্রান্ত রিপোর্ট কেন্দ্রের কাছে পাঠাবেন। কিন্তু কী থাকবে সেই রিপোর্টে? সে প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেননি রাজ্যপাল। শুধু বলেছেন, ‘রাজ্যপালের যা কাজ, সেটাই করব।’
[আরও পড়ুন: জেহাদে শহিদ হলে সত্যিই কি জন্নতে জুটবে একঝাঁক সুন্দরী? প্রশ্ন তুলল ‘৭২ হুরে’, পড়ুন রিভিউ]
এদিন সকালে রাজভবন থেকে বেরিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর লাগোয়া পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে ভোট দেখতে যান রাজ্যপাল। এরপর বারাসাত, বসিরহাট হয়ে যান নদিয়াতেও। বারাসত হাসপাতালে সংঘর্ষে আহতদের দেখতে গিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার নিন্দা করে বলেন, “লড়াইটা বুলেটের নয় ব্যালটের। আজ গণতন্ত্রের পবিত্র দিন। নাগরিকেরা যাতে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তা প্রশাসনের নিশ্চিত করা উচিত।’’