সুদীপ রায়চৌধুরী: রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) নিয়ে নজিরবিহীন নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission)। ভোট গণনা পর্ব মিটে যাওয়ার পরও ১৫টি বুথে ফের নির্বাচনের নির্দেশ দিল রাজীবা সিনহার কমিশন। হাওড়ার সাঁকরাইলের ওই ১৫টি বুথে গণনার দিন ব্যালট চুরির অভিযোগ উঠেছিল। ওই ১৫টি বুথের নির্বাচনকে কার্যত বাতিল ঘোষণা করে দিল কমিশন।
বস্তুত, ভোটপর্বের পাশাপাশি ভোটের গণনা পর্বেও ব্যাপক গোলযোগের অভিযোগ এনেছিল বিরোধীরা। বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস (Congress) তিন দলেরই অভিযোগ, গণনাকেন্দ্রে বিরোধী এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি, মারধর করা হয়েছে। আবার সরকারি আধিকারিকদের প্রভাবিত করে ফলাফল বদলে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। এই একই ধরনের অভিযোগ ছিল হাওড়ার সাঁকরাইলের মানিকপুর এবং সেরেঙ্গার ১৫টি বুথের ক্ষেত্রেও।
[আরও পড়ুন: খুচরো বাজারে হাতে ছ্যাঁকা, ৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি]
অভিযোগ গণনার দিন ওই ১৫টি বুথের ব্যালট পেপার চুরি করা হয়েছিল। অভিযোগ স্থানীয় বিধায়ক প্রিয়া পালের নেতৃত্বে ব্যালট লুট হয়েছে। কমিশন সেই অভিযোগ পেয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের কাছে রিপোর্ট চায়। সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই ওই বুথগুলিতে গোটা নির্বাচনকে কার্যত বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়েছে কমিশনের তরফে। একই ধরনের অভিযোগে উত্তর ২৪ পরগনার ৪টি বুথেও ফের নির্বাচনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: মোদি পদবি মামলায় রাহুলের বিরুদ্ধে ক্যাভিয়েট, দু’পক্ষের বক্তব্য শুনবে সুপ্রিম কোর্ট ]
ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবারই একযোগে গণনায় হিংসার অভিযোগে কংগ্রেস এবং বিজেপি হাই কোর্টে মামলা দায়ের করার হুমকি দিয়েছে। পুরুলিয়া জেলা বিজেপির তরফে জেলায় গণনায় অনিয়ম নিয়ে মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুর্শিদাবাদের কংগ্রেসের দুই জেলা পরিষদ সদস্য। তাঁদের অভিযোগ, জয়ের পরও সার্টিফিকেট পাননি তাঁরা। এদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari) এদিন গণনার বেনিয়ম নিয়ে সরব হয়েছেন। তাঁর অভিযোগ,”গণনাকেন্দ্রে পুরো সিস্টেম কাজ করছিলো এই উদ্দেশ্যে যে কিভাবে বিরোধীদের কোণঠাসা করা যায় ও চাপে ফেলা যায়।” শুভেন্দুর অভিযোগ,”গ্রামে গঞ্জে ‘কচুরিপানা শিল্প’ হোক বা না হোক, ভোটের সময় কারচুপি শিল্পকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে শাসকদল।” যদিও সব অভিযোগই খারিজ করে দিয়েছে শাসকদল।