সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হুমায়ুন কবীর, সৌগত রায়ের পর শুভাপ্রসন্ন। রাজ্যের ভোট (Panchayat Election 2023) হিংসা নিয়ে এবার মুখ খুললেন তৃণমূল ‘ঘনিষ্ঠ’ শিল্পী। ‘লজ্জিত’ শুভাপ্রসন্ননের কথায়, “সারা দেশে এরকম ঘটনা কোথাও ঘটে না। এই সংস্কৃতি বদলাতে হবে।” আর এই বদলের ডাক দিতে আরও একবার পথে নামতে তিনি তৈরি বলেও জানিয়েছেন। বলেছেন, “আমরা আবার মিছিল করতে পারি, আগে যেমন করেছিলাম। সংস্কৃতি বদলের মিছিল।” তাঁর এহেন মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তি বেড়েছে রাজ্যের শাসকদলের। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ মন্তব্য, “বিরোধীরা যা করেছে বাঙালি হিসেবে আমরাও লজ্জিত। শুভাদার মাঝেমধ্যে চুলকানি হয়। ইচ গার্ড লাগাতে বলুন, চুলকানি কমে যাবে।”
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন রাজ্যে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন কয়েকশো জন। মৃতদের মধ্যে ১০ জনেরও বেশি তৃণমূল কর্মী। রাজ্যের শাসকদলের অভিযোগ, বেছে বেছে তৃণমূল কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। এমনকী, ভোটের পরও হিংসা চলছে। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে সরব বিরোধীরা। শাসকদলেরও দুই নেতাকে সরব হতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু রাজ্যের বুদ্ধিজীবীরা চুপ কেন, বিভিন্ন মহল থেকে বারবার এই প্রশ্ন উঠেছিল। সেই নীরবতা ভেঙে এবার হিংসা নিয়ে মুখ খুললেন শাসকদল ঘনিষ্ঠ শিল্পী শুভাপ্রসন্ন। কী বললেন তিনি?
[আরও পড়ুন: কখনও আধা মুখোশে ঢাকা মুখ, কখনও নেড়া মাথা, ‘জওয়ান’-এর আগাম ঝলকে দুর্ধর্ষ শাহরুখ]
শিল্পীর কথায়, “যে ভোট গণতন্ত্রের উৎসব সেখানে যদি এত মানুষের প্রাণ যায় তবে এই সংস্কৃতির বদল হওয়া দরকার। এখানে যা হয় তা সারা দেশে কোথাও হয় না। লজ্জা করে।” তাঁর প্রশ্ন, “এত প্রাণ কেন যাবে? বাংলা মণীষীদের জন্মভূমি। এখানে এই সংস্কৃতি আমরা চাই না। ” এখানেই থামেননি তিনি। বরং পরিবর্তনের পক্ষে জোর সওয়াল করেছেন তিনি। শুভাপ্রসন্নর কথায়,”সময় এসেছে মুক্তমনা, বুদ্ধিজীবীরা একজোট হোক। পথে নামুক। আমার বিশ্বাস, হাজার হাজার মানুষ আমাদের পাশে থাকবে। আমরা আবার মিছিল করতে পারি, যেমনটা করেছিলাম। সংস্কৃতি বদলের জন্য।” তাঁর দাবি, “এই সংস্কৃতি বদল দরকার।” স্বাভাবিকভাবেই এঅ মন্তব্য় ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও তৃণমূল বিষয়টিকে পাত্তা দিতে রাজি নয়।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে শিল্পী শুভাপ্রসন্নর। পরবর্তী সময় রাজ্যে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সিনেমাটি নিষিদ্ধ করা নিয়েও তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ চরমে ওঠে। পরে অবশ্য তাঁর বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কুণাল ঘোষ। কিন্তু ভোট হিংসাকে ঘিরে ফের একবার সেই দূরত্ব আরও বাড়ল মনে করছে রাজনৈতিক মহল।