shono
Advertisement

Panchayat Election 2023: শক্তি শ্রমিক মহল, পঞ্চায়েতের লড়াইয়ে সূতির বিড়ি কারখানার ‘মালকিন’

'মালকিন' পরিচয় ঝেড়ে ফেলে দুয়ারে দুয়ারে ভোটভিক্ষা করছেন রুবিয়া।
Posted: 11:58 PM Jun 24, 2023Updated: 12:00 AM Jun 25, 2023

শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: মুর্শিদাবাদ জেলায় বিড়ির আঁতুড়ঘর সূতি। আর সেই সূতি থেকে এবারের পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) জেলা পরিষদের (ZP) ৯ নম্বর আসনে তৃণমূল  দ্বিতীয়বারের জন্য প্রার্থী করেছে রুবিয়া সুলতানাকে। তাঁর পরিচয় বিড়ি কোম্পানির মালিকের গৃহিণী। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর জোর কদমে প্রচার শুরু করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) প্রার্থী রুবিয়া সুলতানা।

Advertisement

নিজের ‘মালকিন’ পরিচয় ঝেড়ে ফেলে সুতি (Suti) ২ নম্বর ব্লকে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রের লক্ষ্মীপুর, বাজিতপুর, মহেশাইল ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন বিড়ি শ্রমিক অধ্যুষিত মহল্লাতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার (campaign) চালাচ্ছেন রুবিয়া। জেলার রাজনৈতিক মহলের ধারণা জেলা পরিষদের এই আসনে বিড়ি শ্রমিকদের ভোট যাঁর দিকে থাকবে, তাঁর জয় একপ্রকার নিশ্চিত। তাই প্রচারপর্বে সব ভোটারদের দুয়ারে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন তিনি।

[আরও পড়ুন: জয়েনিং লেটার নিয়ে তরজার মাঝে রবিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে তলব রাজ্যপালের]

স্পষ্টবাদী নেত্রী হিসেবে পরিচিত রুবিয়া। নিজের ঘর-সংসার সামলে জেলা পরিষদের সদস্যা হিসেবে প্রথমবার নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকার জন্য একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। নিজের পারফরম্যান্স এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উন্নয়নমূলক কাজকে হাতিয়ার করে এবার ফের পঞ্চায়েতের ভোট যুদ্ধে নেমেছেন রুবিয়া। তিনি জেলা পরিষদের যে আসন থেকে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, সেখানকার বেশিরভাগ ভোটার বিড়ি শ্রমিক। এলাকায় শিক্ষার হার খুব কম। এই মুহূর্তে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রুবিয়া ভোটারদেরকে বোঝাচ্ছেন কিভাবে তাঁরা ব্যালট পেপারে ভোট দেবেন। সেটি ভাঁজ করে ব্যালট বাক্সে ফেলবেন। তার সঙ্গে চলছে ভোটারদের পরিবারের সুখ-দুঃখের খোঁজ নেওয়া।

[আরও পড়ুন: ওয়াগনার বাহিনীর তাড়া খেয়ে দেশ ছেড়ে পালালেন পুতিন? গৃহযুদ্ধের আবহে জল্পনা তুঙ্গে]

সুতি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক ইমানি বিশ্বাসের ভ্রাতৃবধূ, রুবিয়া জানান, ”আমার ব্যক্তিগত পরিচয় কখনওই বড় নয়। আমি নিজের এলাকার সকল শ্রেণীর মানুষদের জন্য কাজ করতে চাই। তাই গ্রামে ঘুরে সকলের বাড়ি গিয়ে আমি ভোট ভিক্ষা করছি। গত জেলা পরিষদের একজন সদস্যা হিসেবে আমি এলাকাতে বেশ কিছু নতুন রাস্তা, কালভার্ট এবং পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে পেরেছি। পাশাপাশি প্রচুর মানুষকে ব্যক্তিগতভাবেও সাহায্য করেছি। এই এলাকাতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনও অভিযোগ ওঠেনি। আমার ছেলেমেয়েরা এখন একটু বড় হয়ে গিয়েছে। আমার নির্বাচনী লড়াইতে আমার স্বামী-সহ পরিবারের সকলেই একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ভোট প্রচারে আমি যেখানেই যাচ্ছি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। তাই আমি নিশ্চিত এবারও মানুষের আশীর্বাদ আমার সঙ্গেই থাকবে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার