অর্ণব দাস, বারাসত: পরিবার এক, কিন্তু গ্রামের ভোট যুদ্ধে তাঁরা একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। দেগঙ্গা ব্লকের চৌরাশি পঞ্চায়েতে (Panchayat Election 2023) কাকা-ভাইপোর লড়াই এখন মূল চর্চার বিষয়। গত পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী কাকা শেখ আমিরুল হোসেন এবার লড়াই করছেন আইএসএফের টিকিটে। প্রতিদ্বন্দ্বী তাঁরই ভাইপো শেখ জালালউদ্দিন, রাজ্যের শাসকদলের প্রার্থী। একই পরিবারের দুই সদস্যের এই লড়াই বেশ উপভোগ করছেন গ্রামবাসীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেগঙ্গা ব্লকের চৌরাশি পঞ্চায়েতের ২৮৫ নম্বর আসন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের এই আসন থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন শেখ আমিরুল হোসেন। কিন্তু মাত্র ৯ ভোটে সিপিএম প্রার্থীর কাছে পরাজিত হতে হয় তাঁকে। এবছরও আমিরুলই এই আসন থেকে শাসকদলের প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জেলা নেতৃত্ব তাঁর বদলে আস্থা রাখে ভাইপো শেখ জালালউদ্দিনের উপর। জোড়া ফুল চিহ্নে প্রার্থী করা হয় ভাইপোকে।
[আরও পড়ুন: ‘প্রেম বন্ধ করা যাবে না’, প্রেসিডেন্সিতে ‘ভালবাসায় বাধা’ বিতর্কে পড়ুয়াদের পাশে মদন মিত্র]
অন্যদিকে, গত নির্বাচনে এই আসন থেকে সিপিএম জিতলেও এবছর জোটের তরফে আইএসএফের প্রার্থী দেওয়া সিদ্ধান্ত হয়। ভাইপো প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে কাকার কাছে বাম সমর্থিত আইএসএফের প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব গেলে রাজি হয়ে যান আমিরুল। এখন সকাল-বিকেল দু’দলেরই প্রার্থী কর্মী-সমর্থকরা একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে বাড়ি-বাড়ি প্রচার করছেন।
আইএসএফ প্রার্থী কাকা শেখ আমিরুল হোসেন বলেন, “২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলাম। সেই সময় অনেক অর্থ খরচ হয়েছিল। কিন্তু হেরে যাওয়ার পর দল আর আমার খবর রাখেনি। পঞ্চায়েতে একের পর এক দুর্নীতি হয়েছে। এরই প্রতিবাদে এবছর বাম সমর্থিত আইএসএফেএ প্রার্থী হয়েছি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে গ্রামবাসীরা আমাকেই ভোট দেবে।” সম্পর্ক সম্পর্কের জায়গায় থাকবে বলে দাবি করে তৃণমূল প্রার্থী ভাইপো শেখ জালালউদ্দিন বলেন, “লড়াইটা হবে রাজনীতির ময়দানে। গত ১০ বছর ধরে ১৮৫ নম্বর বুথ সিপিএমের দখলে ছিল। কিন্তু এলাকায় কোনও কাজ হয়নি। তাই এবছর গ্রামবাসীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের পক্ষে তৃণমূলকে ভোট দিয়ে আমাকে জয়ী করবে।”
[আরও পড়ুন: ‘লাল সিং চাড্ডা’ না ‘বাঘাযতীন’! নিন্দুকদের কাঠগড়ায় দেবের নয়া লুক]