সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনীতে আপত্তি জানিয়ে করা পুনর্বিবেচনার আরজি প্রত্যাহার করে নিল রাজ্য সরকার। গত ১৩ জুন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, রাজ্যের স্পর্শকাতর একাধিক জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে পঞ্চায়েত ভোট করাতে হবে। সেই রায়ের পালটা একটি ‘রিভিশন অ্যাপ্লিকেশন’ দাখিল করে রাজ্য সরকার। শুক্রবার সেই পুনর্বিবেচনার আরজি প্রত্যাহার করে নিলেন রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। তাঁকে আবেদন প্রত্যাহারের অনুমতিও দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
আসলে এই রিভিউ পিটিশনটি দায়ের করা হয়েছিল ১৩ জুনের রায়ের ভিত্তিতে। তারপর ১৫ জুন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়েই নতুন একটি রায় দিয়েছে হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিয়েছে, শুধু বাছাই করা স্পর্শকাতর জেলা নয়, গোটা রাজ্যেই পঞ্চায়েত ভোট করাতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। ডিভিশন বেঞ্চ সুপারিশ করেছে, রায়ের কপি হাতে পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে কমিশনকে। তারপরই রাজ্য পুনর্বিবেচনার আরজি প্রত্যাহার করল।
[আরও পড়ুন: ভোটের আগেই জয়! রঘুনাথগঞ্জের ২ টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের দখলে]
তবে এই পুনর্বিবেচনার আরজি প্রত্যাহার রাজ্যের পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের ইঙ্গিত হতে পারে বলেও মনে করছে আইনজীবী মহলের একাংশ। শোনা যাচ্ছে, বাহিনী সংক্রান্ত হাই কোর্টের রায়ের পালটা সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যেতে পারে রাজ্য সরকার। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই আইনি পরামর্শ শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকার সুষ্ঠুভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার জন্য পাঁচ রাজ্য থেকে পুলিশ ইতিমধ্যেই চেয়ে পাঠিয়েছে। সেক্ষেত্রে এই ভিনরাজ্যের পুলিশ দিয়ে ভোট করানোর ব্যাপারে শীর্ষ আদালতে সওয়াল করতে পারে রাজ্য সরকার। আইনজীবী মহলের একাংশ মনে করছে, শীর্ষ আদালতে আরজি জানানোর পথ সুগম করতেই হাই কোর্ট দাখিল হওয়া পুনর্বিবেচনার আরজি প্রত্যাহার করল রাজ্য সরকার।
[আরও পড়ুন: স্বস্তি সাক্ষী-বজরংদের, কুস্তিগিরদের বিরুদ্ধে এফআইআর খারিজ করছে দিল্লি পুলিশ]
এদিকে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে এই আশঙ্কায় বিরোধীরা আগেই পদক্ষেপ করে রেখেছে। ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল করেছেন কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী (Abu Hasem Khan Chowdhury)। অর্থাৎ রাজ্য আবেদন জানালেও শীর্ষ আদালতে এই মামলার এক তরফা শুনানি হবে না।