বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: পঞ্চায়েত ভোটকে (Panchayat Election) কেন্দ্র করে গ্রামের মানুষের মধ্যে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তা পুরোমাত্রায় কাজে লাগাতে হবে। তাই এখনই লোকসভার প্রচার শুরু করতে বঙ্গ বিজেপিকে নির্দেশ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। সেই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে সংসদের বাদল অধিবেশনে বাংলার সাংসদদের সরব হতে হবে বলে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তবে শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদারদের রাজ্যে ৩৫৫ অথবা ৩৫৬ জারির দাবিকে বিশেষ আমল দিচ্ছে না দিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের কর্তারা। বরং শনিবারের গ্রাম বাংলার চিত্রকে কীভাবে লোকসভা নির্বাচনের ভোটবাক্সে প্রতিফলিত করা যায় তা নিয়ে চিন্তভাবনা শুরু করেছেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা ও বিএল সন্তোষরা।
এদিন বাংলায় ভোট চলাকালীন প্রতি মুহূর্তের খবর নিয়েছেন শীর্ষনেতৃত্ব। বারবার ফোন গিয়েছে সুকান্ত, শুভেন্দুদের কাছে। আক্রান্ত কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার সব বন্দোবস্ত করতে বলা হয়েছে। চিকিৎসার খরচ রাজ্য বিজেপিরে বহন করার নির্দেশ দিয়েছেন দলের সভাপতি।
[আরও পড়ুন: ‘কেন্দ্রের টাকা বন্ধ করে দেব’, ভোটের দিনই হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, ‘ষড়যন্ত্র প্রকাশ্যে এল’, বলছে তৃণমূল]
ফোনের পর ফোন। ই মেইলের পর ই মেইল। এদিন ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাংলার ভোটের খবর পৌঁছে দেওয়া হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), জেপি নাড্ডা ও সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষের কাছে। পরিস্থিতি দলের অনুকুলে যাচ্ছে না। বাংলায় দলের সংগঠনের চিত্র স্পষ্ট হতেই ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযোগ করা হল বাংলার পঞ্চায়েত প্রহসনে পরিণত হয়েছে। কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর টুইট করে অভিযোগ করেন, “বাংলায় যে কোনও ভোটে খুন, অরাজকতা এসব ছাড়া কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মন ভরে না? এমন কী বাধ্যবাধকতা রয়েছে তাঁর।’ বাংলার ভোটের ঘোষণা মানেই ‘গণতন্ত্রের হত্যার সূচনা।” দলের রাজ্যসভার সাংসদ ও জাতীয় মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদীর অভিযোগ, বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা দুর্ভাগ্যজনক। আগে থেকে জেনেও তৃণমূল সরকার কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আসলে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিতেই কমিশন ও সরকার নীরব থেকেছে বলে অভিযোগ তাঁর।
অন্যদিকে, একের পর এক অভিযোগ আসতেই নড়েচড়ে বসে শীর্ষনেতৃত্ব। সরাসরি বঙ্গ নেতৃত্বকে ফোন করে পরিস্থিতি সম্পর্কে খবর নেন জে পি নাড্ডা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা হয়। পরে বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলেন বলে সূত্রের খবর। বিএসএফের ডিজির কাছে থেকে স্ববিস্তার রিপোর্ট তলব করেছেন অমিত শাহ