স্টাফ রিপোর্টার: প্রতিবাদে সরব হয়েও বিতর্কে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক গ্রুপে উসকানিমূলক পোস্ট বিনিময়, শাসকদলের বিরুদ্ধে লাগাতার কুৎসা, অনৈতিকভাবে বুথের ছবি তোলা। কোথাও আবার শান্তিপূর্ণ ভোট শাসকের পক্ষে যাচ্ছে বলে আক্ষেপ! একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে ভোটের কাজে যুক্ত সরকারি আধিকারিকদের একাংশের বিরুদ্ধে। একাধিক পোস্টের স্ক্রিনশট গোয়ন্দাদের হাতে এসেছে। যা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে খবর।
এরই মধ্যে বিরোধীদের সুরে সুর মিলিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার (Rajiva Sinha) বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুন ও আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিল সরকারি কর্মীদের সংগঠন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ নির্বাচন কমিশনের অফিসে যান ভাস্করবাবুরা। ডেপুটেশন দেন। তারপরই আইনি লড়াইয়ের সিদ্ধান্তের কথা জানান মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ। পাশাপাশি ভোট হিংসার অভিযোগ তুলে মহানগরের পথে প্রতিবাদ মিছিলের কথাও ঘোষণা করেন। বলেন, ‘‘ভোট হিংসার প্রতিবাদে আদালতে যাচ্ছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সরাসরি এফআইআর হবে রাজীব সিনহা-সহ নির্বাচনী আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। রবিবার শহরে প্রতিবাদ মিছিল হবে। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে শহিদ মিনার পর্যন্ত।’’
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ক্ষোভকে লোকসভায় কাজে লাগান! বঙ্গ বিজেপিকে নির্দেশ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বর]
ভাস্করবাবুর দাবি,‘‘আদালতের রায়কে উপেক্ষা করে ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ নির্বাচন কমিশনার। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের থেকেও বেশি সংখ্যায় সরকারি কর্মচারীরা আক্রান্ত হয়েছেন এবারের ভোটে।’’ আগামী সপ্তাহে তথ্য প্রমান সংগ্রহ করে আদালতে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন ভাস্করবাবু। আসলে বকেয়া ডিএ আদায়-সহ একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন চালাচ্ছে বাম নিয়ন্ত্রিত সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। একাধিকবার এই মঞ্চের নেতাদের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
[আরও পড়ুন: ‘এমনটা ভাবাও ভুল’, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে আপত্তি মোদির ‘বন্ধু’ আজাদের]
অভিযোগ, নির্বাচন যাতে সুষ্ঠভাবে পরিচালিত না হয় তার জন্য লাগাতার ভোটের কাজে নিযুক্ত সরকারি কর্মীদের মগজ ধোলাইয়ের চেষ্টা করেছে মঞ্চ। নিরাপত্তার নামে কন্ট্রোল রুম খুলে উস্কানি দেওয়া হয়েছে ভোটকর্মীদের, বুথের ভিতরের ছবির আদানপ্রদানও করা হয়েছে বিভিন্ন গ্রুপে। সরবরাহ করা হয়েছে বিরোধী দলকে। যা অনৈতিক শুধু নয়, শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলেও অভিযোগ।