গোবিন্দ রায়: পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) পরবর্তী হিংসায় ভাঙড়ে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনার জল গড়াল এবার আদালতে। কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta HC) এনিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। মৃত্যু নিয়ে হাই কোর্টের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে। এছাড়া পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্বে ৪৩ জনের মৃত্যু নিয়েও আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
পঞ্চায়েত সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানি চলছে হাই কোর্টে। গণনার দিনও মামলা দায়ের হয়েছে। আর বুধবার সেই সব মামলায় কমিশনের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাই কোর্টের বিচারপতিরা। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) ভূমিকা খুব সন্তোষজনক নয়। বুধবার মামলার শুনানি, অথচ কমিশনের তরফে কোনও অফিসার হাজির নেই বক্তব্য জানানোর জন্য। এরপর আদালতের প্রশ্ন, ৬৯৮টি বুথে কীসের ভিত্তিতে পুনর্নির্বাচন (Repoll) হল? তার ব্যাখ্যা দিতে কমিশন প্রস্তুত নয় বলে মনে করছেন বিচারপতিরা।
[আরও পড়ুন: পাখির চোখ উত্তরবঙ্গ! রাজ্যসভায় বিজেপির অস্ত্র এবার অনন্ত মহারাজই]
কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েন, রাজ্য পুলিশের প্রহরা – এত সতর্কতার পরেও গোলমাল ঠেকানো গেল না কেন? পুলিশ কেন নাগরিককে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হল? এসব প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতিরা। তাঁদের পর্যবেক্ষণ, রাজ্য যদি তার নাগরিককে নিরাপত্তা না দিতে পারে, তাহলে সেটা খুব গুরুতর ব্যাপার। কমিশন নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে হলফনামা দিয়ে জানাক। তারপরে আদালত বিবেচনা করবে। বিচারপতিদের আরও পর্যবেক্ষণ, এর আগে বহু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। তার মধ্যে দু’টি নির্দেশ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। বাকিগুলোকে চ্যালেঞ্জ করা হয়নি। তাই হাই কোর্ট ধরে নিচ্ছে, সেসব নির্দেশকে মান্যতা দেবে কমিশন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি বলেই সামগ্রিক পরিস্থিতিতে মনে করছে উচ্চ আদালত।