বিক্রম রায়, কোচবিহার: বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার থেকে ঠেকাতে এবার তাঁদের ঘরবন্দি করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। দিনহাটা বিধানসভার সঙ্গে কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা এবং নাটাবাড়ি বিধানসভার শতাধিক প্রার্থীকে তুলে নিয়ে এসে প্রায় তিন দিন ধরে কোচবিহার শহরের একটি বেসরকারি আবাসে রীতিমতো বন্দি করে রাখা হয়েছে। যদিও বিজেপি নেতৃত্বদের দাবি, তৃণমূলের সন্ত্রাসের জেরে তারা এই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন। সোমবার সেই বেসরকারি আবাসনে গিয়ে সেখানে থাকা প্রার্থী এবং তার পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেন বিজেপির জেলা সভাপতি বিধায়ক সুকুমার রায় এবং বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় শেষ হলেই এই প্রার্থীদের বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে বিজেপি মনস্থির করেছে।
কোচবিহার জেলা বিজেপির সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, দিনহাটা বিধানসভার সঙ্গে কোচবিহার দক্ষিণ এবং নাটাবাড়ি বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের সন্ত্রাস চলছে। প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে ১০৫ জন প্রার্থীকে শহরের একটি আবাসনে তারা রেখেছেন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় শেষ হয়ে গেলে তাদের বাড়ি ফিরে যাবার ব্যবস্থা করা হবে।
[আরও পড়ুন: একইদিনের দ্বিতীয়বার, ফের বিস্ফোরণ মুর্শিদাবাদে! উড়ল TMC সমর্থকের বাড়ির চাল]
গোটা ঘটনায় বিজেপির সমালোচনা করে তৃণমূলের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, বিজেপি নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য এই ধরনের কাজ করছে। তারা সব আসনে প্রার্থী দেবে বলে আস্ফলন করেছিল তবে শেষ পর্যন্ত দেখা গিয়েছে তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে সেখানে প্রার্থী খুঁজে পায়নি বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে কিছু প্রার্থী এবং তার পরিবারকে ঘরবন্দি করে রেখে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। জেলায় যদি কোথাও সন্ত্রাস হয়ে থাকে তাহলে এখনও কেন পুলিশ বা নির্বাচন কমিশনে একটিও অভিযোগ তারা করেননি।
মনোনয়নের পরে আবাসনে আশ্রয় নেওয়া বিনোদিনী রায়, টুম্পা বর্মনরা জানান, প্রার্থী পদে মনোনয়ন জমা করার পর থেকেই তাদের প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করে নেবার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বাধ্য হয়েই তারা দলের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট করা ঘরে আশ্রয় নিয়েছেন। মনোনয়ন জমা করার পর থেকে এখানে থাকলেও বাড়ির লোকেদের তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।