ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: গ্রামবাংলার মত নিতে বেরিয়েছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বিভিন্ন সভায় তাঁর বক্তব্যের মূল দিক ছিল দুটি। প্রথমত রাজ্যের মানুষকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী কী পরিষেবা দিচ্ছেন, আর দ্বিতীয়ত কেন্দ্রের কাছে কোন কোন প্রকল্পে বাংলা কতটা বঞ্চিত। দু’মাসের সেই গ্রাম সফরে বিপুল সাড়া পেয়েছেন অভিষেক। তাঁর সেই উপলব্ধি সঙ্গী করেই পঞ্চায়েতের ইস্তেহার তৈরি করছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। ৬ জনের নির্বাচনী কমিটি কয়েকদিনের মধ্যেই তা চূড়ান্ত করে জেলাস্তরে প্রকাশ করে দেবে।
জেলাস্তরে ইস্তেহার প্রকাশ করার আরও একটি কারণ জেলাভিত্তিক এবং নির্দিষ্ট জেলার নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী ভিত্তিক উন্নয়নের খতিয়ান থাকবে সেই ইস্তেহারে (Manifesto)। মূল দুটি ইস্যুর সঙ্গে যাকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে রাখা হবে। যাকে ভিত্তি করে চলবে অঞ্চল কমিটির প্রচার। উত্তরে যেমন থাকবে দার্জিলিং পাহাড় থেকে ডুয়ার্সের জনগোষ্ঠীর কথা, তরাইয়ে সেখানকার মানুষের কথা, রাঢ়ভূমের জন্য থাকবে সেখানকার স্থানীয় মানুষের কথা। জঙ্গলমহল আর সুন্দরবনের (Sunderban) মানুষের জন্য থাকবে স্থানীয় এলাকার গোষ্ঠীভিত্তিক সমষ্টিগত উন্নয়ন আর তাঁদের প্রাপ্য পরিষেবার কথা। গ্রামবাংলার প্রত্যন্ত এলাকা, তার মানুষকে গুরুত্ব দিতেই এই ভাবনা। ইস্তেহার তৈরির এই পর্বে অভিষেকের নবজোয়ার (Trinamoole Nabajawar) কর্মসূচির প্রত্যেক দিনের ছবি, মানুষের কাছে পাওয়া তাঁর ফিডব্যাক মাথায় রাখা হচ্ছে। কারণ অভিষেকের এই কর্মসূচির মূল অংশ জনসংযোগ।
[আরও পড়ুন: এবার সংখ্যালঘুদের ‘মোদি মিত্র’ বানানোর উদ্যোগ বিজেপির! উত্তরপ্রদেশ থেকে শুরু নয়া অভিযান]
আর ইস্তেহারও তৈরি করা হচ্ছে মানুষের কাছে পৌঁছতেই। স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মতামতকে সেখানে গুরুত্ব দিয়েই নানা ইস্যু তুলে তার সঙ্গে সরকারি প্রকল্প ও পরিষেবার কতটা যোগসূত্র গড়া গিয়েছে, সেই দিকগুলি চিহ্নিত হবে। দলের এক রাজ্যস্তরের নেতা জানাচ্ছেন, যে ৬ জনকে নিয়ে নির্বাচন কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁরাই এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে প্রতিটি জেলার সমস্ত অঞ্চলকে গুরুত্ব দিয়ে এই ইস্তেহার তৈরির কাজ করছেন। মনোনয়ন থেকে শুরু করে প্রত্যাহার পর্ব মিটে গেলে দল সরাসরি প্রচারে ঝাঁপাবে। ক’দিন আগের দলীয় বৈঠকেই তা বলে দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার রূপরেখাও প্রায় চূড়ান্ত। তার মধ্যেই চলছে ইস্তেহার তৈরির কাজ। চূড়ান্ত হলেই পাঠিয়ে দেওয়া হবে জেলায় জেলায়।