অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: সালিশি সভায় এক যুবককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় বাড়িতে। সব মিলিয়ে উত্তাল হাওড়ার সাঁকরাইল। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভাঙচুরের ছবি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
হাওড়ার (Howrah) সাঁকরাইলের কান্দুয়ার বাসিন্দা শাহাবুদ্দিন সেপাই। দিনকয়েক আগে মেয়ের বিয়ে নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে বচসা বাঁধে তাঁর। পরবর্তীতে মেয়েকে নিয়ে ওই যুবকের স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যান। সেই সমস্যা সমাধানে মঙ্গলবার সন্ধেয় শাহাবুদ্দিনের বাড়িতে সালিশি সভা ডাকা হয়। সেই সময় পাঁচলার জুজুরসাহা গ্রাম পঞ্চায়েতে উপপ্রধান শেখ খলিল আহমেদের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন যুবক যায় সেখানে। তারা আলোচনার পর শাহাবুদ্দিনকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ এবং মারধর করে বলে অভিযোগ। এর পর খলিল ফোন করে তার দলের আরও সদস্যদের ডাকেন। এর পর দুটি ম্যাটাডোর এবং ৫০ টি বাইকে করে প্রায় ১৫০ জন হাজির হয় শাহাবুদ্দিনের বাড়িতে। তাঁদের অধিকাংশের হাতে লাঠি, রড, ছুরি এবং ভোজালি ছিল বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুুন: পুলিশের মারে যুবকের মৃত্যু! থানায় বাইরে তুমুল বিক্ষোভ, পুলিশ-জনতা ধস্তাধস্তিতে রণক্ষেত্র ঢোলাহাট]
তাঁরা শাহাবুদ্দিনের বাড়িতে হামলা চালায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কান্দুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যও। তিনিও ভয়ে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান শাহাবুদ্দিনও। এর পর হামলাকারীরা কিছুটা দূরে শাহাবুদ্দিনের ভাইপোর বাড়িতে পৌঁছায়। শাহাবুদ্দিন সেখানে লুকিয়ে আছেন এই সন্দেহে সেই বাড়িতেও ব্যাপক তাণ্ডব চালানো হয়। আলমারি ভেঙে চল্লিশ হাজার টাকা নগদ, সোনার গয়না এবং দামি মোবাইল নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় সাঁকরাইল থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার দ্বারা তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।