গোবিন্দ রায়: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Vote 2023) আগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তি। আর তাতে ক্ষুব্ধ কলকাতা হাই কোর্ট। এত হিংসা হলে ভোট বন্ধ হয়ে যাওয়া উচিত, মন্তব্য বিচারপতি অমৃতা সিনহার।
মনোনয়ন জমা এবং প্রতীক পাওয়ার পরেও আশ্চর্যজনকভাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে ভাঙড়ের অন্ততপক্ষ ১৭ জন প্রার্থীর নাম। তাই বাধ্য হয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ ওই সিপিএম প্রার্থীরা। মামলাকারীদের দাবি, “১৯ জুন পর্যন্ত আমাদের নাম তালিকায় ছিল, হঠাৎ করে তা বাদ চলে গেল।” ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্য করতে গিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে অশান্তির ঘটনায় উষ্মাপ্রকাশ করেন।
[আরও পড়ুন: ‘সব লড়াইয়ের জন্য তৈরি’, পুরুষ হতে চান বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কন্যা সুচেতনা]
তাঁর পর্যবেক্ষণ, “যদি একটা পঞ্চায়েত নির্বাচনে এত রক্তপাত, হিংসা, সংঘর্ষ হয় তাহলে এই নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এটা রাজ্যের পক্ষে লজ্জার। যদি আইনশৃঙ্খলার এই অবস্থা হয় যে প্রার্থীরা সময়মতো মনোনয়ন পেশ করতে পারছেন না, তাহলে তাঁদের অতিরিক্ত সময় তো দিতেই হবে। আমার কাছে একাধিক মামলা আসছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে মানুষদের মারধর করা হচ্ছে, ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এসব কী?” বিচারপতির উদ্দেশে রাজ্যের সওয়াল, “মাত্র ৮টি ব্লকে অশান্তি হয়েছে। বাকি শান্তিপূর্ণ।” এরপর কার্যত বিরক্তির সুরে বিচারপতি বলেন, “১৯৯৯ সালে কী হয়েছিল, ২০০৩ সালে কী হয়েছিল, সেসব কথা বলবেন না।” তীব্র ভর্ৎসনার পর ওই সিপিএম প্রার্থীদের নির্বাচনে লড়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা।