সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “হিংসা চাইনি, তা সত্ত্বেও বহু মানুষ পরিস্থিতির শিকার”, পঞ্চায়েত ভোটের ফলপ্রকাশের পর সাংবাদিক বৈঠকে দুঃখপ্রকাশ করে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের অশান্তির দায় চাপালেন বিরোধীদের কাঁধে। বললেন, “আগামী প্রজন্মের জন্য আমাদের লক্ষ্য শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা।” পালটা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে কার্যত বোমা-বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছে গোটা বাংলা। বোমাবাজি, গুলি চলছে লাগাতার। ভোটের দিনে প্রাণ গিয়েছে ১৯ জনের। তবে মনোনয়ন ও ভোট পরবর্তীতে মোট মৃতের সংখ্যা ৪০-এরও বেশি। এই পরিস্থিতিতে অশান্তি নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। ভাঙড় ও মুর্শিদাবাদের অশান্তির দায় বিরোধীদের কাঁধেই চাপালেন তিনি। বললেন, “কোনও মৃত্যুই কাম্য নয়। তবে বেশিরভাই মৃত্যু হয়েছে আমাদের কর্মীর। ১৯ জনের প্রাণ গিয়েছে।” বাহিনীর উপস্থিতিতে ভাঙড়ে অশান্তি হল কী করে সেই প্রশ্ন তুললেন মমতা। তাঁর দাবি, রাজ্যে যেখানে অশান্তি হয়েছে সেগুলি বরাবরই অশান্তি প্রবণ এলাকা। তাঁর দাবি, রাজ্যের মাত্র দুটি জেলায় অশান্তি হয়েছে। কিন্তু মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে বিরোধীরা। এরপরই সকলকে উদ্দেশ্য করে মমতা বলেন, “আমার আবেদন শান্তি, সম্প্রীতি বজায় রাখুন। বাংলা ভাঙতে দেব না। বিজেপির প্ররোচনায় পা দেবেন না।”
[আরও পড়ুন: ‘শিশু’ ও ‘আমে’র কাছে পরাজয় ঘাসফুলের, দুই বিক্ষুব্ধ নির্দলকে নিয়ে অস্বস্তি শাসকের!]
এদিন কংগ্রেস ও সিপিএমকেও নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবশেষে তিনি বলেন, “সাধ্য মতো চেষ্টা করেছি। যদি নবজোয়ার করে মানুষের ঘরে ঘরে শান্তির বার্তা না দেওয়া হত তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারত। যা ঘটেছে চেষ্টা করব আগামীতে যেন না ঘটে।” মমতার দাবি, বিরোধীরা চায়নি ভোট হোক। এখনও আদালতে ছুটছে। হেরেছে কিন্তু সেটা মানতে পারছে না। মমতার কথায়, “ভোটের জন্য আমাদের কর্মীদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। সকলকে অভিনন্দন। আমরা হয়তো ৯০ শতাংশ। কোথাও কোনও ভুলত্রুটি থাকলে প্রশাসনিক স্তরে পদক্ষেপ হবে। আগামী প্রজন্মের জন্য আমাদের লক্ষ্য শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা।” শুভেন্দুর কথায়, “মমতার লজ্জা থাকলে সামনে আসতেন না, কারণ ওনার হাতে রক্ত লেগে।”