ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: দুর্নীতি, দলীয় কোন্দল-সহ হাজারও অভিযোগ ফুৎকারে উড়িয়ে ফের তৃণমূলেই (TMC) আস্থা রেখেছে গ্রামবাংলা। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম – সর্বত্রই সবুজ ঝড়। এমনকী উত্তরবঙ্গ যেটুকু জমি মজবুত হয়েছিল বিজেপির (BJP), তাও হাতছাড়া হয়েছে এবারের পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election)। নন্দীগ্রামে বিরোধী দলনেতা নিজের বুথে জয় পেলেও সামগ্রিক ফলাফলে তৃণমূলের সাফল্যের ধারেকাছেও পৌঁছতে পারেনি বিজেপি। দিলীপ ঘোষ, শান্তনু ঠাকুররা নিজেদের বুথেই পরাজিত। এই পরিস্থিতিতে একযোগে রাজ্যপাল ও বিরোধী দলনেতাকে নিশানা করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্রের কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
পঞ্চায়েত ভোট পর্বে লাগাতার অশান্তির খবর পেয়ে রাজ্যপাল কার্যত রাস্তায় নেমে পড়েছিলেন। যেখানেই কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন, সেখানেই ছুটে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)। পঞ্চায়েত ভোটের আবহে রাজনৈতিক নেতাদের মতো ভূমিকাতেই তাঁকে দেখেছেন রাজ্যবাসী। বারবার হিংসা প্রতিরোধ, সুষ্ঠুভাবে জনরায় গ্রহণের প্রক্রিয়ার কথা বলেছেন। ভোটের দিন, এমনকী ভোটের ফলপ্রকাশের দিনও তিনি ছিলেন পথে। ঘুরে দেখছিলেন পরিস্থিতি। তৃণমূল বারবার তাঁর এই ভূমিকাকে বিরোধীদের সঙ্গে তুলনা করেছিল। এবার পঞ্চায়েতের ফলাফলে বিপুল ভোটে জিতে ফের গ্রামবাংলার দখল নিতেই তাঁর পদত্যাগ দাবি করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর টুইট, এই ফলাফল দেখার পর তাঁর উচিত, পদ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া।
একইসঙ্গে টুইটে তিনি বিরোধী দলনেতাকেও নিশানা করেছেন। নন্দীগ্রামের পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের ফলাফল উল্লেখ করে কুণাল ঘোষের শ্লেষ, ‘লোডশেডিং’ বিধায়ক শুভেন্দু তো ‘ব্লক স্তরের নেতা’ হয়ে গেলেন!