সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী চাইলে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll) সমস্ত প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করবে আইএসএফ (ISF)। বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক। সোমবার ISF বিধায়ক বলেন, “ভাঙড়ের মানুষের নিরাপত্তার থেকে বেশি আর কিছুই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। যেখানে আমার নিরাপত্তা নেই, সেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা থাকবে কীভাবে? তাই মুখ্যমন্ত্রী যদি চান, ভাঙড়ের মানুষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করব।” পালটা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তাঁর কথায়, “হার নিশ্চিত বুঝে এখন প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের নাটক করছেন।” প্রসঙ্গত, নিরাপত্তা চেয়ে এদিনই হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছে নওশাদ সিদ্দিকি।
সোমবার বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন নওশাদ। সেখানেই তিনি জানান, ভাঙড়ের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাই তাঁর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিধায়কের দেওয়া খতিয়ান অনুযায়ী, আইএসএফ ও তৃণমূল মিলিয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৫ জন। এরপরই নওশাদের সংযোজন, “আমি রাজনীতির মাধ্যমে সমাজ বদল করতে এখানে এসেছি। মানুষের নিরাপত্তাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই শান্তি ফেরাতে যদি মুখ্যমন্ত্রী আমাকে বলেন, তাহলে প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের বিষয় ভাবনাচিন্তা করব।” তৃণমূলের তরফে শান্তনু সেন অবশ্য ISF বিধায়কের এই ভূমিকাকে নাটক বলেই কটাক্ষ করেছেন। বলেছেন, “হার নিশ্চিত বুঝে এখন প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের নাটক করছেন।”
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে খরচের ঊর্ধ্বসীমা বাঁধে না কমিশন, কেন জানেন?]
খুন হওয়ার আশঙ্কা আগেই প্রকাশ করেছেন ISF বিধায়ক। যে কোনও সময় তাঁর উপর হামলা হতে পারে। নাম না করে তৃণমূলের দিকেই আঙুল তুলেছেন নওশাদ। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা চেয়ে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন। জানা গিয়েছিল, কেন্দ্রের তরফে নওশাদকে নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলেও দাবি করেছেন বিধায়ক। কেন্দ্র নিরাপত্তা দিলে তিনি নেবেন? নওশাদ সিদ্দিকির উত্তর, “কেন নেব না? কেন্দ্র তো আমার কাছে অচ্ছুৎ নয়।”