শংকর কুমার রায়, রায়গঞ্জ: মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন বছর কুড়ির যুবক মনুসুর আলি। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। বুধবার ভোররাতে প্রাণ হারান তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোকে পাথর পরিবার।
গত ১৫ জুন অর্থাৎ পঞ্চায়েতে (Panchayat Polls 2023) মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের দিগাবানার বাড়ির অদূরে কাঁঠালবাড়ি এলাকায় বাম-কংগ্রেসের মিছিলে এলোপাথাড়ি গুলি চলে। গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গুলিবিদ্ধ হন মনসুর। তারপর থেকে নার্সিংহোমে ভরতি ছিলেন বাম যুব কর্মী। গত ছ’দিন ধরে চিকিৎসায় সামান্যও সাড়া দিচ্ছিলেন না তিনি। মঙ্গলবারই চিকিৎসকরা পরিবারকে জানিয়েছিলেন, যেন ছেলেকে এসে দেখে যান। তাঁদের নির্দেশ মতো মনসুরের সঙ্গে দেখা করেন বাড়ির লোকেরা।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের টিকিট বিলিতে দুর্নীতির অভিযোগ, দলের জোড়া পদ থেকে সরলেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী]
চোপড়ার সীমান্ত দাসপাড়ায় গান্ধাগজের বাড়িতে ফিরে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিজনেরা। ছেলের মর্মান্তিক পরিণতির কথা ভেবে হাউ হাউ করে কাঁদতে থাকেন বৃদ্ধ বাবা মইদুল আলি। পেশায় সাধারণ চাষি বাবা বলেন, “ছেলে আর ফিরবে না জানি, তাই হয়তো ছেলেকে শেষ দেখা দেখতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তারপর আমাদের কে দেখবে!” বাবার আশঙ্কা সত্যি করে ভোররাতেই চিরঘুমে চলে যান মনসুর।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারালেন আটজন। আপাতত মনসুরের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে। এদিন বিকেলে পরিবারের হাতে তাঁর মৃতদেহ তুলে দেওয়া হতে পারে।