গোবিন্দ রায়: টানা ধরনার পর হাই কোর্টে বড় জয় পেলেন অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। বড়ঞার কংগ্রেস প্রার্থীদের বি-ফর্ম জমা নেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় কংগ্রেস প্রার্থীদের বি ফর্ম জমা নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় বিডিও অফিসে প্রতীক বিলিকে কেন্দ্র করে উত্তেনা ছড়ায়। অভিযোগ, কংগ্রেস (Congress) প্রার্থীদের প্রতীকের ফর্ম ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তৃণমূল। যা নিয়ে অশান্তি শুরু হয়। কংগ্রেসের দাবি, পুলিশের সামনেই তাঁদের প্রার্থীদের এবং ফর্ম বিলির দায়িত্বে থাকা প্রাক্তন বিধায়ককে মারধর করে দুষ্কৃতীরা। জোর করে বি ফর্ম কেড়েও নেওয়া হয়। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রায় শ’দুয়েক কংগ্রেস প্রার্থীর প্রতীকের ফর্ম জমা পড়েনি।
[আরও পড়ুন: মোদির আমেরিকা সফরে ‘মানবাধিকার কাঁটা’, বাইডেনকে চিঠি কংগ্রেস সদস্যদের]
খবর পেয়ে মঙ্গলবারই বড়ঞা বিডিও অফিসে ছুটে যান অধীর। দলের কর্মীদের মারধর এবং ‘বি ফর্ম’ কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে ধরনায় বসে পড়েন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। রাতভর সেখানেই ধরনায় বসে থাকেন অধীর। সাফ জানিয়ে দেন, যতক্ষণ না তাঁর দলের প্রার্থীদের প্রতীক বিলির ফর্ম নতুন করে জমা নেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ ধরনা চলবে। কংগ্রেসের তরফে হাই কোর্টে মামলাও দায়ের করা হয়। সেই মামলাতেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Amrita Sinha) কংগ্রেস প্রার্থীদের প্রতীকের ফর্ম নতুন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে জমা নেওয়ার নির্দেশ দিলেন।
[আরও পড়ুন: ব্লিঙ্কেন বন্ধুত্বের কথা বললেও বেসুরো বাইডেন, ‘একনায়ক’ জিনপিংকে তোপ]
অধীর হাই কোর্টে এই জয়ে উচ্ছ্বসিত। আদালতের রায় জানার পরই ধরনা প্রত্যাহার করে বড়ঞায় মিছিল শুরু করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। অনুমতি না থাকায় পুলিশ তাঁকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে কিছুটা ধ্বস্তাধ্বস্তিও হয়। অধীরের দাবি, “বড়ঞার ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনের নগ্ন স্বৈরাচারী রূপ প্রকাশ পেল।”