ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ শিরোধার্য। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইস্তফা দিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore)মারিশদা পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান ও অঞ্চল সভাপতি। যদিও স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশ মেনে ইস্তফা দিতে আপত্তি তুলেছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান ঝুনুরানি মণ্ডল। তাঁর যুক্তি ছিল, জনতার ভোটে তিনি প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন। তাই দলের নির্দেশে কেন ইস্তফা দেবেন? কিন্তু অবশেষে দলের চাপে পড়ে তিনি পদত্যাগ করেন।
শনিবার কাঁথির প্রভাত কুমার কলেজের মাঠে জনসভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভায় যাওয়ার আগে মাঝপথে কনভয় থেকে নেমে মারিশদা গ্রামে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেখানকার গ্রামবাসী বিশেষত মহিলারা নানা বিষয় নিয়ে অভিযোগ জানান। বাড়ি, রাস্তা ও নিকাশির সমস্যার কথা বলেন। কেউ আবার অভিযোগ জানান, সরকারি কাজে হয়রানি নিয়ে। গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মন দিয়ে তাঁদের সব কথা শোনেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। যোগাযোগের জন্য চেয়ে নেন ফোন নম্বর। তাঁদের সকলকে সাহায্যের আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি অভিষেক খোঁজ নেন ওই এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানের বিষয়ে।
[আরও পড়ুন: ‘মন্ত্রিত্ব, ক্ষমতা সবটাই মিউজিক্যাল চেয়ার’, কেন একথা বললেন মদন মিত্র?]
এরপর কাঁথির জনসভা থেকে এই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, মারিশদা পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান ও অঞ্চল সভাপতিদের ইস্তফা দিতে হবে। শনিবার অভিষেকের সেই নির্দেশের পর রবিবারই ইস্তফা দিলেন পঞ্চায়েত প্রধান (Panchayet Chief) ঝুনুরানি মণ্ডল, উপপ্রধান রামকৃষ্ণ মণ্ডল এবং অঞ্চল সভাপতি গৌতম মিশ্র।
[আরও পড়ুন: সারাদিন ঘুরেও খোঁজ মিলল না ভোটকেন্দ্রের! পুরনিগমের নির্বাচনে ক্ষুব্ধ দিল্লিবাসী]
যদিও স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিষেকের নির্দেশ মেনে প্রথমে ইস্তফা দিতে চাননি ঝুনুরানি। তাঁর বক্তব্য ছিল, “আমি জনগণের ভোটে প্রধান হয়েছি। আমাকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্তফা দিতে বলতে পারেন না। জনগণের বললে নিশ্চয়ই ইস্তফা দেব।” পরে অবশ্য তিনি জানান, “পঞ্চায়েত প্রধানের চেয়ারে বসার পর কেউ দলের থাকে না। তবে একটা দল থেকে আমি প্রধান হয়েছি। দল বললে ইস্তফা দিতে হবে।” এরপর অবশ্য চাপের মুখে পড়ে ইস্তফা দিলেন পঞ্চায়েত প্রধান ঝুনুরানি মণ্ডল।