সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডেটিং অ্যাপ টিন্ডারে প্রেমের ফাঁদ পেতে এক যুবককে অপহরণ করে খুন! এই অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হল প্রিয়া শেঠ নামের এক যুবতীকে। সেই সঙ্গে তার দুই সঙ্গীকেও এই সাজা দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালে দুষ্মন্ত শর্মা নামে ২৮ বছরের এক যুবককে হত্যায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এই সাজার রায় শুনিয়েছে জয়পুরের এক আদালত।
ঠিক কী হয়েছিল? আসলে এই ঘটনার পিছনে রয়েছে দুটি মিথ্যা! ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যখন প্রিয়ার সঙ্গে দুষ্মন্তর আলাপ হয়েছিল, তিনি জানিয়েছিলেন তাঁর নাম ভিভান কোহলি। এবং তিনি এক বিরাট ধনী ব্যবসায়ী। অন্যদিকে প্রিয়ারও লক্ষ্য ছিল টিন্ডারের মাধ্যমে প্রেমের ফাঁদ পেতে ওই যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করা।
[আরও পড়ুন: ওড়িশা থেকে উদ্ধার বাংলার নিখোঁজ কলেজ ছাত্রের দেহ, সন্তানহারা আরামবাগের পরিবার]
কিন্তু ‘ডেট’ করতে পৌঁছে দুষ্মন্ত বুঝতে পারেন কত বড় বিপদ ডেকেছেন তিনি! এর পরই তাঁর বাবা একটি ফোন পান। সেখানে দুষ্মন্তকে কাঁদতে কাঁদতে বলতে শোনা যায়, ”আমাকে বাঁচাও বাবা, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে। তুমি ওদের ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে আমাকে প্রাণে বাঁচাও।” এর পর ফোনটা হাতে নিয়ে গালাগালি দিতে থাকে প্রিয়া। জানিয়ে দেয়, মুক্তিপণের টাকা না পেলে দুষ্মন্তকে মেরে ফেলা হবে। তখন যুবকের বাবা রামেশ্বর প্রসাদ শর্মা জানান, অত টাকা তাঁর কাছে এমনিতেই নেই। তবে বিকেল চারটের মধ্যে ৩ লাখ টাকার ব্যবস্থা তিনি করে ফেলতে পারবেন।
এর পর দুষ্মন্তের ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে দুষ্কৃতীরা ২০ হাজার টাকা তোলে। সেই সঙ্গে অপরাধ চাপা দিতে খুন করে দুষ্মন্তকে। প্রথমে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করলেও প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন অসহায় ওই যুবক। এর পরই ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয় তাঁকে। জয়পুরের এক গ্রামের বাইরে সুটকেসবন্দি তাঁর দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
[আরও পড়ুন: লজ্জায় মুখ ঢাকছে বাণিজ্য নগরী! মুম্বইয়ে দশ বছরে ধর্ষণ বেড়েছে ১৩০ শতাংশ]
পরে অবশ্য গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত প্রিয়া শেঠকে। সে অপরাধও কবুল করে। অবশেষে শনিবার আদালত প্রিয়া ও তার দুই সঙ্গী দীক্ষান্ত শর্মা ও লক্ষ্য ওয়ালিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ মিলেছে বলে জানান বিচারক অজিতকুমার হিঙ্গার।