স্টাফ রিপোর্টার: মেয়েদের ফুটবলে গতবারের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন। এবারও সোনা জয়ের অন্যতম দাবিদার। প্যারিসে সূচনাটাও ভালো হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দল জিতেছে ২-১ গোলে।
কিন্তু সেই জয় উদযাপনের মতো অবস্থায় নেই কানাডার মহিলা ফুটবল দল। বরং ‘চৌর্যবৃত্তি’ সংক্রান্ত অভিযোগে জর্জরিত তারা। যে অভিযোগের জেরে দলের কোচ বেভ প্রিস্টম্যান সহ কোচিং দলের তিন সদস্যকে সাসপেন্ড করে ইতিমধ্যেই বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। সে দেশের অলিম্পিক কমিটি বিবৃতি দিয়েছে, ‘জাতীয় মহিলা দলের কোচ বেভ প্রিস্টম্যানকে কানাডা সকার সাসপেন্ড করার তাঁকে অলিম্পিক দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। প্যারিস অলিম্পিকের (Paris Olympics 2024) বাকি ম্যাচে দলের দায়িত্বে থাকবেন সহকারী কোচ অ্যান্ডি স্পেন্স।’ ব্রিটিশ কোচ প্রিস্টম্যান ২০২০ সাল থেকে কানাডার দায়িত্বে ছিলেন। তার আগে দীর্ঘ পাঁচ বছর সেদেশের একাধিক বয়সভিত্তিক মহিলা দলকে কোচিং করিয়েছেন তিনি। তাঁর কোচিং দলে থাকা সহকারী জেসমিন মন্দার এবং অ্যানালিস্ট জোসেফ লোম্বার্ডিকেও আপাতত সাসপেন্ড করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়াকে অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উত্তর কোরিয়া বলায় বিতর্ক, ক্ষমাপ্রার্থী আইওসি]
ওহ! এতক্ষণে তো প্রিস্টম্যান এবং তাঁর দুই সহকারীর অপরাধটা ঠিক কী তা বলাই হয়নি। চুরি করে প্রতিপক্ষের অনুশীলন দেখার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। দিন দুয়েক আগে নিউজিল্যান্ডের অনুশীলন ড্রোন উড়িয়ে দেখায় সময় ধরা পড়েন জেসমিন ও জোসেফ। দ্রুতই তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়। ঘটনার নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে প্রিস্টম্যান ঘোষণা করেন, তিনি নিউজিল্যান্ড ম্যাচে ডাগআউটে থাকবেন না। কিন্তু এরপরই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসে। প্রিস্টম্যান দায়িত্ব আসার পর থেকেই এভাবে ড্রোন উড়িয়ে প্রতিপক্ষের অনুশীলন চুরি করে দেখার প্রবণতা নাকি শুরু হয়।