সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে রাহুল গান্ধীর ‘দাপুটে’ ভাষণের বেশ কিছু অংশ বাদ পড়ল সংসদের কার্যবিবরণী থেকে। স্পিকারের নির্দেশ মতোই রাহুলের বক্তব্যের ওই অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি সংসদের সচিবালয় সূত্রের। যার প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে দেখা করেছেন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)।
সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার পর বুধবার সংসদে পা রেখেই রীতিমতো আগুনে ভাষণ দেন রাহুল। কখনও তিনি মোদিকে (Narendra Modi) নাম না করে রাবণের সঙ্গে তুলনা করেন। কখনও আবার মণিপুরে ‘ভারত মাতা’কে হত্যা করা হয়েছে বলে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তোলেন। মোদির উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ”আপনি ভারতমাতার রক্ষাকর্তা নন। আপনি ভারত মাতার খুনি। আমার এক মা এখানে বসে রয়েছেন। অন্য মা’কে আপনি খুন করেছেন মণিপুরে।”
[আরও পড়ুন: ৭০ হাজারে কিনে বিয়ে করেছিলেন, সেই স্ত্রীকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দিলেন যুবক!]
সূত্রের খবর, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার (Om Birla) নির্দেশে রাহুলের বক্তব্যের কিছু অংশ কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ‘ভারত মাতা’র হত্যা সংক্রান্ত যে অংশটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক হয়েছে, সেই অংশটির রেকর্ড রাখা হয়নি। স্পিকার মনে করছেন, রাহুলের বক্তব্যের ওই অংশটি ‘অসংসদীয়’। স্পিকারের এই সিদ্ধান্তে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী এ নিয়ে স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে দেখা করেছেন।
[আরও পড়ুন: ফের অপরিবর্তিত রেপো রেট, আপাতত বাড়ি-গাড়িতে EMI বাড়ার সম্ভাবনা নেই]
অধীরের বক্তব্য, সংসদে দাঁড়িয়ে কেউ অসংসদীয় কিছু বললে সেটা কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়ার রীতি আছে বটে। কিন্তু রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) তেমন কিছুই বলেননি। ‘ভারত মাতা’ শব্দটি বলা বা দেশকে ‘মা’ মনে করা প্রত্যেক ভারতীয়র অধিকার। সেটা অসংসদীয় হয় কী করে? স্পিকারের সঙ্গে দেখা করে অধীর দাবি করেছেন রাহুলের ওই ভাষণের সম্পূর্ণ অংশ সংসদের রেকর্ডে রাখতে হবে।