সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদে গ্যাস হানা নিয়ে প্রথমবার প্রকাশ্যে মুখ খুলেই রীতিমতো হুঙ্কার ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী বললেন, এই ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগের। কিন্তু এ নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। মোদির দাবি, অবিলম্বে সরকার এই ষড়যন্ত্রের মূলে পৌঁছে যাবে।
গত বুধবার সংসদে হইচই ফেলে দেয় দুই হানাদার। অধিবেশন চলাকালীন স্মোক বম্ব নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করে তারা। ওই ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বৃহস্পতিবারই দিনভর একাধিক বৈঠক করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ বিজেপির একাধিক শীর্ষ নেতার সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। তারপর বৈঠক করেন মন্ত্রীদের সঙ্গে। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেই মন্ত্রীদের সংসদে গ্যাস হানা নিয়ে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রীদের উদ্দেশে মোদির বার্তা, এই ঘটনাকে কোনওভাবেই হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন,”এই ঘটনাটা গুরুত্ব দিয়ে দেখুন। এটা নিয়ে কোনওভাবে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়বেন না। আমাদের আরও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।”
[আরও পড়ুন: সংসদে হামলার প্রতিবাদ করায় নয়, অন্য কারণে সাসপেন্ড বিরোধী সাংসদরা, সাফাই বিড়লার]
তবে ওই ঘটনার পর প্রকাশ্যে এই প্রথমবার প্রকাশ্যে মুখ খুললেন মোদি। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বললেন,”সংসদের নিরাপত্তায় বিচ্যুতে উদ্বেগজনক ঘটনা।” রাজনৈতিক দলগুলির কাছে তাঁর আর্জি, এটা জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়। এ নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। মোদির বিশ্বাস, দ্রুত এই ঘটনার মূলে পৌঁছানো যাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৩ ডিসেম্বরের ঘটনা চিন্তার এবং উদ্বেগের। এর নেপথ্যে কারা, কেন এই ঘটনা? জানতে বিস্তারিত তদন্তের প্রয়োজন। ঘটনার পরই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা (Om Birla) একটি তদন্ত কমিটি গড়েছেন। আমরা সকলেই আত্মবিশ্বাসী সব ষড়যন্ত্র ফাঁস হবে।”
[আরও পড়ুন: ভাঁড়ে মা ভবানী, এবার দেশের নামে চাঁদা চাইবে কংগ্রেস]
উল্লেখ্য সংসদে হামলাকারীদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দিতেই হামলা চালিয়েছিলেন তাঁরা। এমনকী, তাঁরা প্যামফ্লেটও নিয়ে গিয়েছিলেন সংসদে। যাতে লেখা ছিল, “প্রধানমন্ত্রী নিখোঁজ। খুঁজে দিতে পারলে পুরস্কার।” কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) আবার সরাসরি এই হামলার জন্য মোদির নীতিকে দায়ী করেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আপাতত এসব নিয়ে রাজনীতি চান না।