সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুরনো সংসদে হামলার পাশাপাশি নয়া ভবনে অনাহুত অতিথি, 'গণতন্ত্রের মন্দির'-এ নিরাপত্তার গলদ বহুবার দেখেছে দেশ। বার বার প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তার খামতি নিয়ে। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে সংসদ ভবনের নিরাপত্তায় এবার মাছি গলার মতোও ফাঁক রাখতে চাইছে না দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Home Ministry)।
জানা যাচ্ছে, ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা শতাব্দী প্রাচীন 'ওয়াচ অ্যান্ড ওয়ার্ড কমিটি'র পরিবর্তে দায়িত্ব পুরোপুরি তুলে দেওয়া হচ্ছে সিআইএসএফ-এর হাতে। এমনকী সাংসদ সদস্যদের পাসের বিষয়টিও দেখবেন সিআইএসএফ-এর (CISF) আধিকারিকরা। গত ৩ মে সংসদের নিরাপত্তার (Parliament Security) সার্ভে সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: খুনের হুমকি দিতেন মুকুটমণি! ‘মিঠুন স্যর বললেন, ভয় পেও না পাশে আছি’, দাবি স্বস্তিকার]
গত বছর সংসদে স্মোক বোম হামলার ঘটনায় সংসদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল দিল্লি পুলিশকে (Delhi Police)। এর পর গত মাসে দিল্লি পুলিশের ১৫০ কর্মীকে সরিয়ে মোতায়েন করা হয় সিআইএসএফ জওয়ানদের। নিরাপত্তায় রদবদলের মূল কারণ ছিল গত ১৩ ডিসেম্বরে সংসদে হামলার ঘটনা। ওই দিন অধিবেশন চলাকালীন অজ্ঞাত পরিচয় দুই যুবক সংসদে ঢোকে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই সংসদের ব্যালকনি থেকে লাফিয়ে নিচে নামে তাঁরা। জুতোর নিচ থেকে বের করা হয় স্মোক বোম। রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয় সংসদের অন্দরে। এর পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে। তখনই জল্পনা শুরু হয় পুরানো নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বদল এনে এবার সিআইএসএফ-এর হাতে তুলে দেওয়া হবে সংসদের নিরাপত্তার ভার। সেই সম্ভাবনাতেই এবার সিলমোহর পড়তে চলেছে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: ‘মহাগুরু’র মহা চমক! ভোটের আগেই মিঠুনের হাত ধরে বিজেপিতে রানাঘাটের তৃণমূল প্রার্থীর স্ত্রী]
গত ৩ মে শাহের মন্ত্রকের তরফে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়, সিআইএসএফের অতিরিক্ত কর্মীদের নিয়োগের জন্য পুনরায় সংসদ ভবনের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সার্ভের কাজ শুরু করতে হবে। যার জন্য জয়েন্ট সার্ভে টিম গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সিআইএসএফ-এর ডিআইজি অজয় কুমারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সার্ভের কাজ শেষ করতে এবং দ্রুত রিপোর্ট পেশ করতে। রিপোর্ট আসার পর নেওয়া হবে পরবর্তী পদক্ষেপ। এই রিপোর্ট আসার পর তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার করে নেওয়া হবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।