সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আদানি ইস্যুর (Adani issue) ধাক্কায় সংসদের বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনও সরগরম হয়ে রইল। একদিকে কংগ্রেস (Congress) ও অন্য বিরোধী সাংসদরা সংসদ থেকে বিজয় চক পর্যন্ত ‘তেরঙ্গা মিছিল’ করলেন। পরে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করলেন তাঁরা। অন্যদিকে এদিন স্পিকারের ডাকা চা চক্রে গেলেন না বিরোধীরা। সব মিলিয়ে অধিবেশনের শেষ দিনও আদানি ইস্যু ও রাহুল গান্ধীকে নিয়ে চলতে থাকা বিতর্ক অব্যাহত রইল।
এদিন কংগ্রেসের সঙ্গে মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি ও এনসিপির সাংসদরা। ছিলেন বাম সাংসদরাও। পরে তাঁরা একটি যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে আদানি ইস্যুতে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দাবি করেন, সরকার চায় না সংসদ সচল থাকুক।
[আরও পড়ুন: সিবিআইয়ের ডাকে সাড়া দেননি, এবার গরু পাচার মামলায় আবদুল লতিফকে দিল্লিতে ডাকল ED]
শেষদিন সংসদের অধিবেশন না হওয়ার জন্য বিরোধীদের দায়ী করছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তাঁর কথায়, ”গোটা দেশ দেখছে কংগ্রেস একজন নেতার জন্য কী করে চলেছে। আমরা সবাই দেখেছি সুরাট আদালতে কীভাবে সদলবলে গিয়ে কংগ্রেস বিচারব্যবস্থার উপরে চাপ সৃষ্টি করেছে। একজন কংগ্রেস নেতার দাবি, গান্ধী পরিবারের জন্য আলাদা আইন দরকার।”
এই খোঁচার জবাব দিয়েছে কংগ্রেস। হাত শিবিরের সাংসদ কেসি বেণুগোপাল প্রশ্ন তুলেছেন, ”ওরা কেন আদানি কেলেঙ্কারি নিয়ে আলোচনা করতে চাইছে না?” একই সুরে খাড়গেও বলেছেন, ”রাহুল গান্ধী লোকসভায় জানতে চেয়েছিলেন কী করে আদানির সম্পত্তি গত আড়াই বছরে এভাবে লাফিয়ে বাড়ল।” তাঁর কটাক্ষ, ”বিষয়টা দেশের সম্পদ নিয়ে। কিন্তু ওরা যুগ্ম সংসদীয় কমিটিতে সম্মত হল না। কারণ ডাল মে কুছ কালা হ্যায়।”