ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: রাজ্যের একাধিক বিধায়ক দিল্লির পথে! সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা। ফলে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অরূপ চক্রবর্তী, জুন মালিয়া, জগদীশ বর্মা বসুনিয়া এবং পার্থ ভৌমিক। তবে এখনই রাজ্য়ের সেচমন্ত্রীর পদ থেকে সরছেন না পার্থ। বরং ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত করতে তাঁকে ও দেবকে নিয়ে আলাদা করে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনই সূত্রের খবর।
রাজ্যের একাধিক বিধায়ককে লোকসভা ভোটের যুদ্ধে নামিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই 'ডিসটিংশন' নিয়ে পরীক্ষায় পাশ করে গিয়েছেন। সংসদে বাংলার মানুষের হয়ে লড়তে গেলে বিধায়ক পদ ছাড়তে হবে। কেউ কেউ মনোনয়ন পত্র দেওয়ার সময়ই বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। কেউ কেউ ভোটে জেতার পর পদ ছাড়ছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম বাঁকুড়ার অরূপ চক্রবর্তী (বুয়া), মেদিনীপুরের জুন মালিয়া, কোচবিহারের জগদীশ বর্মা বসুনিয়া এবং নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক।
[আরও পড়ুন: ফের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ, রেল পেলেন না নীতীশ! নতুন সরকারে কোন পদে কে?]
পার্থ ভৌমিককে সেচমন্ত্রী করেছিলেন মমতা। তাঁর উপর ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের দায়িত্ব ছিল। আপাতত সেই দায়িত্ব সামলাবেন তিনিই। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, রাজ্য বিধানসভায় ভোটে না জিতেও মন্ত্রী হতে পারেন। তবে আগামী ৬ মাসের মধ্যে তাঁকে উপনির্বাচনে জিতে আসতে হয়। সুতরাং আগামী ৬ মাস সময় রয়েছে পার্থর হাতে। এর মধ্যেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে পার্থ এবং দেবের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করবেন মমতা।