সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শারীরিক পরীক্ষার জন্য ইএসআই হাসপাতালের সামনে পৌঁছেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। হাসপাতালে পৌঁছে গাড়ি থেকে নামতেই চাননি তিনি। হাত ধরে নামানোর চেষ্টা করতেই গাড়ি থেকে পড়ে যান। এদিনের ছবিতেই স্পষ্ট, মানসিকভাবে বিধ্বস্ত অর্পিতা। এদিকে হাসপাতালে প্রবেশের সময় প্রথমবার নীরবতা ভেঙে পার্থ বললেন, “আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।”
শুক্রবার বেলা প্রায় সাড়ে ১২ টা নাগাদ জোকা ইএসআই হাসপাতালে পৌঁছন অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রথমে অর্পিতাকে গাড়ি থেকে নামানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। সেই সময়ই গাড়ি থেকে নামতে চাননি অর্পিতা। গাড়িতে বসেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। তবুও ইডির দুই মহিলা আধিকারিক অর্পিতাকে নামানোর চেষ্টা করেন, সেই সময় গাড়ি থেকে পড়ে যান তিনি। এরপর কোনওক্রমে তাঁকে ওঠানো হয়। হুইল চেয়ারে করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালের ভিতরে।
[আরও পড়ুন: ‘শুভেন্দুর বাড়িতে এজেন্সি গেলেও মিলবে গুপ্তধন’, বিস্ফোরক অভিযোগ কুণাল ঘোষের]
তারপরই গাড়ি থেকে নামানো হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। হুইল চেয়ারে করে তাঁকে হাসপাতালের ভিতরে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রথমবার সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেন তিনি। বলেন, “আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।” গ্রেপ্তারির পর ৭ দিন পেরিয়েছে। এর আগেও একাধিকবার নিজের বক্তব্য পেশের সুযোগ ছিল পার্থবাবুর কাছে। কিন্তু একবারও মুখ খোলেননি তিনি। আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টাও করেননি। বরং নীরবই ছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্নও উঠেছিল। তৃণমূলের তরফে বারবার বলা হয়েছিল, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজেই চুপ, উনি নিজেই কোনও প্রতিবাদ করছেন না।” এসবের মাঝেই বৃহস্পতিবার রাজ্যের মন্ত্রিসভা ও তৃণমূলের সমস্ত পদ থেকে সরানো হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তার ঠিক পরেরদিনই মুখ খুললেন পার্থ। যদিও কার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তিনি করলেন তা স্পষ্ট নয়।
এ বিষয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “এই কথাটা বলতে ছ’ দিন সময় কেন লাগল? উনি এতদিন কেন কিছু বললেন না? গ্রেপ্তারির পরই বলা উচিত ছিল। এবার কিছু বললে তা আইনি পথে বলতে হবে।”