অর্ণব আইচ: আবারও ধোপে টিকল না অসুস্থতার যুক্তি। ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর দু’জনকে ভারচুয়ালি আদালতে পেশ করা হবে। প্রয়োজনে জেলে গিয়ে তাঁদের জেরা করতে পারেন ইডি আধিকারিকরা।
গত ২২ জুলাই সকাল থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। রাতভর তল্লাশির পর পরেরদিনই ঘণ্টাখানেকের ব্যবধানে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) গ্রেপ্তার হন দু’জনেই। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে তেমন কিছু উদ্ধার হয়নি। তবে অর্পিতার অভিজাত আবাসনে থাকা দু’টি ফ্ল্যাট থেকে মোট ৫০ কোটি টাকা, গয়নাগাটি, বিদেশি মুদ্রা বাজেয়াপ্ত করা হবে। গ্রেপ্তারির পরই মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন পার্থ। দলীয় পদও আর নেই তাঁর। ইডি’র পর দু’দফায় মোট ২৮ দিন জেল হেফাজতেই কেটেছে পার্থ ও অর্পিতার। প্রেসিডেন্সি জেলেই ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। অর্পিতা রয়েছেন আলিপুর মহিলা সংশোধাগার।
[আরও পড়ুন: ‘কীভাবে ইডি বলছে অসহযোগিতা করছি?’, ভারচুয়াল শুনানিতে জামিনের আবেদন পার্থর]
এখনও পর্যন্ত ফ্ল্যাট, জমি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট-সহ পার্থ ও অর্পিতার (Arpita Mukherjee) বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে ইডি। অর্পিতা যদিও তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, তাঁর দু’টি ফ্ল্যাট থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া ৫০ কোটি টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তাঁর ফ্ল্যাটকে কার্যত ‘মিনি ব্যাংক’ হিসাবে কাজে লাগিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। তবে অর্পিতার দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেছেন, ওই টাকার মালিক তিনি নন। তদন্তে সব কিছু পরিষ্কার হবে বলেও দাবি জানিয়েছিলেন পার্থ।
তবে এদিনও আদালতে ভারচুয়ালি সওয়াল জবাব চলাকালীন ইডি’র (ED) আইনজীবী দাবি করেন, এখনও পর্যন্ত পার্থ ও অর্পিতার শতাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও একাধিক ভুয়ো সংস্থার হদিশ মিলেছে। ওই সংস্থাগুলির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা হত বলেই দাবি ইডি’র। বিপুল সম্পত্তির উৎস সম্পর্কে জানতে পার্থ-অর্পিতাকে আরও জেরা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেই দাবি করেন ইডি’র আইনজীবী। তবে অসুস্থতার যুক্তিতে জামিনের আবেদন জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। জামিনের আবেদনের পক্ষে সওয়াল করেননি অর্পিতার আইনজীবী। তবে শেষমেশ ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পার্থ ও অর্পিতা।