গোবিন্দ রায়: প্রেম বা প্রণয় নয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সঙ্গে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সম্পর্ক ছিল কাকা-ভাইঝির মতো। কলকাতা হাই কোর্টে পার্থর জামিন মামলায় এমনটাই দাবি করলেন প্রাক্তন মন্ত্রীর আইনজীবী। শুধু তাই নয়, পার্থর আইনজীবী স্পষ্ট দাবি করেছেন, তাঁর মক্কেলের সঙ্গে অভিনেত্রী অর্পিতার শুধুই ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল।
মঙ্গলবার পার্থের জামিনের মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। পার্থর হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায় এবং আইনজীবী অয়ন পোদ্দার। সেই মামলা চলাকালীন পার্থর আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল পার্থ চট্টোপাধ্যায় অর্পিতাকে (Arpita Mukherjee) চিনতেন না এমনটা নয়। ব্যবসায়িক সূত্রেই তাঁদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। কিন্তু ওইটুকুর বাইরে আর কিছু জানা ছিল না। তাছাড়া ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল বলেই পার্থ অর্পিতার কাছে বাড়তি সুবিধা ভোগ করেছেন এমন প্রমাণ নেই। পার্থের আইনজীবী জানিয়েছেন, অর্পিতার বাড়ি এবং অন্যান্য সংস্থা থেকে যে সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তা নিজের বলে দাবি করেননি তাঁর পার্থ। ভবিষ্যতেও করবেন না। এমনকী অপা নামের যে বাড়িগুলির কথা বলা হচ্ছে, সেগুলিও পার্থ শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার আগে কেনা।
[আরও পড়ুন: প্রয়াত দেশের প্রবীণতম সাংসদ, ভুগছিলেন বয়সজনিত অসুখে]
এরপর বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ পার্থ ও অর্পিতার মধ্যে ঠিক কী সম্পর্ক সেটা স্পষ্ট করতে বলেন। তার জবাবে পার্থর আইনজীবী জানান, দু’জনের মধ্যে কাকা-ভাইঝির সম্পর্ক ছিল। অর্পিতার জীবন বিমার কাগজপত্রেও তেমনটা লেখা রয়েছে। অর্পিতার কাছে বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে যাতে বিমার কাগজপত্র উদ্ধার হয়েছে। সেই নথিতে পার্থকে নমিনি হিসাবে দেখানো হয়েছে। এবং সম্পর্কের জায়গায় দেখানো হয়েছে ‘কাকু’।
[আরও পড়ুন: মধ্যবিত্তের পাশে থাকার বার্তা, ন্যূনতম সরকারি হস্তক্ষেপের দাবি মোদির]
এরপরই পার্থর জামিনের জন্য জোরাল সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী। তিনি দাবি করেন, পার্থর কাছ থেকে তেমন কিছুই উদ্ধার হয়নি। অথচ গত এক বছর সাত মাস ধরে তিনি জেলে। তাছাড়া তাঁর বয়স ৭২। বিভিন্ন শারীরিক সমস্যাও রয়েছে। পার্থর বাড়িতে শুধু কয়েকটি সংস্থার নাম ছাড়া কিছু পায়নি ইডি। যা পাওয়া গিয়েছে অর্পিতার বাড়িতে। বুধবার ফের মামলার শুনানি হবে।