ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: পুরভোটের (Municipal Election) প্রার্থীতালিকা প্রত্যাশামতো না হওয়ায় বিস্তর অসন্তোষ তৃণমূলে (TMC)। তার বহিঃপ্রকাশও দেখা গিয়েছে নানা জায়গায়। কোথাও কোথাও দলত্যাগের মতো অনভিপ্রেত ঘটনাও ঘটেছে। এবার এই বিভ্রাট সামলাতে আসরে নামলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে সমস্ত বিভ্রান্তি কাটানোর চেষ্টা করলেন তিনি। বিভিন্ন জেলার নির্বাচনী দায়িত্বে কো-অর্ডিনেটর হিসেবে নিয়োগ করে দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে সাফ জানিয়ে দিলেন, প্রার্থী তো একজনই হবেন। দলীয় পতাকার পিছনে এক হয়ে সবাই দাঁড়াবেন।
এদিন প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিক্ষোভ দমনেই আসরে নামলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তা তাঁর বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট। তৃণমূল মহাসচিবের বক্তব্য, ”এত বড় নির্বাচন, মিনি বিধানসভা। তাতে অনেকেই দাঁড়াতে চান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উন্নয়ন করেছেন, তার ভিত্তিতে কর্মীদের উৎসাহ-উদ্দীপনা বেড়েছে। কিন্তু প্রার্থী একজনই হয়। যাঁদের অসন্তোষ হয়েছে, তাঁদের বলব – নেত্রী এক, পতাকা এক। আমি বলব, চিহ্নও এক। তাই দলকে যে সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে দাঁড় করিয়েছেন, মানুষের আস্থা পেয়েছেন, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই তালিকায় অনুমোদন দিয়েছেন। তাঁকেই সমর্থন করবেন।” আরও জানান, সংশোধিত তালিকা জেলা সভাপতিদের পাঠানো হয়েছে। সেটাই চূড়ান্ত।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসে নিউ মার্কেটে মাছ বিক্রি, ডানলপ থেকে গ্রেপ্তার জঙ্গি]
এ প্রসঙ্গে তিনি দলের সকলের কাছে আবেদন জানান, গতবারের থেকে বেশি আসনে জেতাতে হবে। জেলায় জেলায় নির্বাচন সংক্রান্ত সমন্বয় রাখার জন্য তিনি আলাদা করে কো-অর্ডিনেটর নিয়োগ করে দিলেন। যাঁরা কো-অরডিনেট করবেন, তাঁদের তালিকা –
- হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমানের কো-অর্ডিনেটর পুলক রায়
- উত্তর ২৪ পরগনার কো-অর্ডিনেটর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পার্থ ভৌমিক
- দক্ষিণ ২৪ পরগনার কো-অর্ডিনেটর শুভাশিস চক্রবর্তী
- পশ্চিম মেদিনীপুরের কো-অর্ডিনেটর মানস ভুঁইঞা
- মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুরের কো-অর্ডিনেটর ফিরহাদ হাকিম
- কোচবিহারের কো-অর্ডিনেটর সুব্রত বক্সি
- দার্জিলিংয়েরর কো-অর্ডিনেটর গৌতম দেব
- জলপাইগুড়ির কো-অর্ডিনেটর সৌরভ চক্রবর্তী
- আলিপুরদুয়ারের কো-অর্ডিনেটর চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য
[আরও পড়ুন: নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ, পূর্ব রেলের সদর দপ্তরের সামনে জামা খুলে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের]
পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন আরও জানান, এতগুলো ওয়ার্ডে কোথায় কী বিক্ষোভ হচ্ছে, তা খুঁজে বের করা কম্বলের লোম খুঁজে বের করার মতো। দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। তৃণমূল মহাসচিবের কথায়, ” মমতার পরিবার হল মানুষের পরিবার। তাঁকে নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। মানুষের সঙ্গে তিনি সবসময় আছেন। মানুষ যাতে দুঃখ না পায়, তাঁদের সঙ্গে নিয়ে যাতে চলতে পারি সেটুকু দেখব।”