সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) বিপাকে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। দ্বিতীয় পর্বে ম্যারাথন জেরা। টানা ৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার সন্ধে ৭টা ১১ মিনিট নাগাদ নিজাম প্যালেস থেকে বেরলেন তিনি। এদিন সকাল ১০টা ৪০ মিনিট নাগাদ সিবিআই দপ্তরে পৌঁছন তিনি। সূত্রের খবর, পরেশ অধিকারীর মেয়ের চাকরির বিষয়ে ঠিক কী তথ্য তাঁর কাছে ছিল, সেই সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের লিখিত বয়ান নেয় সিবিআই। রাজ্যের বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikari) মেয়ে অঙ্কিতা কীভাবে চাকরি পেলেন, সে সংক্রান্ত তথ্য তাঁর কাছ থেকে জানতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই সূত্রে খবর, কিছুই জানেন না বলেই দাবি করেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। মন্ত্রীর দাবি মানতে নারাজ সিবিআই। একজন মন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে অঙ্কিতার চাকরি সম্পর্কে কিছুই জানতে পারলেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সে সম্পর্কে ধোঁয়াশায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
[আরও পড়ুন: জঙ্গিনেতা ইয়াসিন মালিককে যাবজ্জীবন জেলের সাজা, হিংসার আশঙ্কায় শ্রীনগরে জারি কারফিউ]
এসএসসি দুর্নীতি মামলার জল গড়িয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court)। আদালতের নির্দেশে আপাতত এসএসসি দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই (CBI)। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়িয়েছে এই মামলায়। গত ১৮ মে, বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিট নাগাদ সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেন পার্থ। টানা সাড়ে ৩ ঘণ্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। সাড়ে ন’টা নাগাদ সিবিআই দপ্তর থেকে বেরন তিনি। যদিও জেরা শেষে বেরনোর পর সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী। সিবিআই সূত্রের খবর, ওইদিন পার্থবাবুকে দু’দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এসএসসি’র প্রাক্তন উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের বয়ানের সঙ্গে তাঁর বয়ান মিলিয়ে দেখা হয় বলেও সূত্রের দাবি। দ্বিতীয় দফায় বুধবার ফের নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন পার্থ। এদিন প্রায় টানা ৮ ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে।
এদিকে, কলকাতা হাই কোর্টের পর সুপ্রিম কোর্টেও (Supreme Court) ধাক্কা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বুধবার সুপ্রিম কোর্টেও তাঁর রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। পরবর্তীকালে আবার ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে হবে কিনা, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।