সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলের অস্বস্তি কাটাতে এখনই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) সমস্ত পদ এবং মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। এবার রীতিমতো বিস্ফোরক টুইট করে বসলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। কুণালের বক্তব্য, তৃণমূলের নিচুতলার অধিকাংশ কর্মীও এটাই চাইছেন। তিনি শুধু নিচুতলার কর্মীদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন।
পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার (Arpita Mukherjee) ফ্ল্যাট থেকে রাশি রাশি টাকা উদ্ধার ইতিমধ্যেই দলকে যথেষ্ট বিড়ম্বনায় ফেলেছে। বুধবার রাতে অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের পরই কুণালবাবু বলেন, ‘‘এই ছবি আমাদের মাথা হেঁট করে দেওয়ার মতো। অত্যন্ত উদ্বেগজনক ছবি। এটা একেবারেই কাম্য নয়। এত টাকা কে রাখল, কারা রাখল, কীভাবে রাখল, তা তদন্ত করে তাদের সম্পর্কে ইডি ন্যূনতম তথ্যপ্রমাণ আদালতে পেশ করলে দল উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।’’
[আরও পড়ুন: পার্থকে এখনই দলের সব পদ এবং মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করা উচিত, বিস্ফোরক টুইট কুণালের]
বস্তুত, দলের তরফে সরাসরি এখনও পার্থর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলেও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে ইডি (ED) কোনও ন্যূনতম প্রমাণ পেশ করতে পারলেই পার্থর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আবার পার্থর ঘনিষ্ঠ মহলের মাধ্যমে তাঁকে সব পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য বার্তাও পাঠানো হয়েছে। কিন্তু রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী নাছোড়বান্দা। তিনি কোনওভাবেই মন্ত্রিত্ব ছাড়তে নারাজ। শুধু তাই নয়, সরাসরি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবিও করতে পারছেন না পার্থবাবু। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেলেও একবারও নৈতিকতার খাতিরে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেননি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।
আর তাতেই সম্ভবত ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে কুণালের। টুইট করে সরাসরি পার্থর অপসারণের দাবি করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন, দল যদি মনে করে তাঁর দাবি ভুল। তাহলে তাঁকেও সরিয়ে দিতে পারে। অর্থাৎ কুণাল বুঝিয়ে দিয়েছেন, পার্থকে অপসারণের দাবি থেকে তিনি সরবেন না। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদকের সাফ কথা,”আমি যদি ভুল বলে থাকি, তাহলে দল আমাকে সব পদ থেকে সরিয়ে দিতে পারে। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মী হিসাবে কাজ করে যাব।”
[আরও পড়ুন: ফের প্রকাশ্যে রাম-বামের বোঝাপড়া! রাজ্যকে আক্রমণ করতে একই গ্রাফিক্স ব্যবহার শুভেন্দু-শতরূপের]
অবিলম্বে পার্থর পদত্যাগের দাবিতে রাজ্যজুড়ে সরব বিরোধীরা। তবে আইনি প্রক্রিয়ার দিকে নজর রেখে এবং প্রবীণ এই নেতার প্রতি সৌজন্যের খাতিরেই সম্ভবত দলের তরফে এই মর্মে এখনও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। কিন্তু পরপর অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে পার্থর টাকা উদ্ধার এবং তাঁদের ঘনিষ্ঠতার যে খবর সংবাদমাধ্যমে উঠে আসছে, তা দলের জন্য রীতিমতো অস্বস্তিকর। এই অস্বস্তি কাটাতে পার্থর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াটা এই মুহূর্তে অবশ্য কর্তব্য বলেই মনে করছেন কুণাল ঘোষ।