অর্ণব আইচ: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নতুন উদ্যমে জনসংযোগে নামছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। মঙ্গলবার থেকে টানা ৬০ দিনের কর্মসূচি ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’-এ অংশ নিচ্ছেন তিনি। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ – আগামী ২ মাস জেলাতেই থাকবেন অভিষেক। জনসংযোগের পাশাপাশি চলবে পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ। গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ‘গ্রামবাংলার মতামত’ জানতে চাইবেন। আর নতুন কর্মসূচি শুরুর আগে অভিষেকের সাফল্য কামনা করলেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা দলের একসময়ের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। সোমবার তাঁকে আলিপুর আদালতে পেশ করার সময় সাংবাদিকরা তাঁকে এই সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ”অভিষেক সফল হোক।”
তৃণমূলের (TMC) মহাসচিব পদে থাকাকালীন ভোটে দলের প্রার্থী নির্বাচনে বড় ভূমিকা ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির উপর নজরদারি থেকে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে সুপারিশ পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল তাঁরই। দলও প্রাথমিকভাবে তাঁর মতামতকে সামনে রেখেই এগিয়ে যেত। তবে এখন দিন বদলেছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জড়িয়ে পড়ায় দল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে। দলের সমস্ত পদ হারিয়েছেন তিনি, হারিয়েছেন মন্ত্রিত্বও। যদিও পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজে এখনও তৃণমূলের প্রতি আস্থাশীল। জেলবন্দি দশাতেও তা বারবার প্রকাশ করেছেন।
[আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ সুদানে মৃতের সংখ্যা ৪০০ পেরল, খাদ্য-জলের অভাবে ধুঁকছে আমজনতা]
সামনে পঞ্চায়েত ভোট। প্রার্থী বাছাইয়ে পার্থর দায়িত্ব অনেকটাই নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলায় জেলায় টানা ৬০ দিন ঘুরে তিনি ‘জনসংযোগ যাত্রা’ ও ‘গ্রামবাংলার মতামত’-এর ভিত্তিতে পঞ্চায়েতের প্রার্থী বেছে নেবেন। যদিও সেসব চূড়ান্ত করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার থেকে অভিষেক এই কাজে নামার আগে দলনেত্রী তাঁকে টুইটে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পালটা টুইটে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিষেকও।
[আরও পড়ুন: সিঙ্গুরে এশিয়ার বৃহত্তম পাইকারি বাজার! প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা]
আর এই পরিস্থিতিতে অভিষেকের এই নয়া কর্মসূচির ঠিক আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এই সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তর দেন, সফল হোক। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি আরও বলেন, ”অভিষেক আমাদের ড্রাইভিং ফোর্সের নেতা। আমরা গাইডিং ফোর্সের নেতা।”