ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: টুইটযুদ্ধে এবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের মুখোমুখি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিশ্ববিদ্যালয় ইস্যুতে শনিবার একটি চিঠি রাজ্যপালকে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। যাতে তিনি রাখঢাক না করে স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন, শিক্ষা দপ্তর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কাজে খুব একটা হস্তক্ষেপ করতে পারে না। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। রবিবার রাজ্যপালকে ট্যাগ করে সেই চিঠি টুইটারে প্রকাশ করে দেন শিক্ষামন্ত্রী।
এরপরই শিক্ষামন্ত্রীর এই কাজের সমালোচনা করে গোটা পোস্টটি রিটুইট করেন রাজ্যপাল। তিনি লেখেন, “ঢিল মারলে পাটকেল ছোঁড়ার সময় এটা নয়। মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী, আমরা বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করব। শিক্ষামন্ত্রী বিষয়টি ভাল করে খোঁজখবর নিয়ে নিতে পারেন।” তাতে পালটা কটাক্ষ করেছেন শিক্ষামন্ত্রীও। লিখেছেন, “ইট খেলে পাটকেল ছুঁড়ব, এই শিক্ষা আমাদের মধ্যে নেই। যে শিক্ষা আছে, তাতে জানি অসত্য বললে সত্য তথ্য মানুষকে জানানোর অধিকার আমাদের আছে। সেই কারণেই এই টুইট। তিনি যেমন সময় দেবেন, সেই অনুযায়ী আলোচনা হবে।” এ নিয়ে রাজ্যপাল-শিক্ষামন্ত্রীর টুইটযুদ্ধে বেশ সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া।
[আরও পড়ুন: উর্ধ্বমুখী তাপমাত্রার পারদ, বছর শেষে জাঁকিয়ে শীতের আমেজ নেই বঙ্গে]
সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলার জেরে সেখানে আচার্য তথা রাজ্যপাল উপস্থিত থাকতে না পারার ঘটনায় তীব্র সমালোচনা তৈরি হয়। সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আগামী ১৩ জানুয়ারি ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকেও আলোচনা করতে চেয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে প্রয়োজনমতো আলোচনার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। চিঠির উত্তরে তা তিনি রাজ্যপালকেও জানান। মাত্র একদিনের মধ্যে চিঠির উত্তর পেয়ে আপ্লুত রাজ্যপাল টুইটারে সেটি পোস্টও করে দেন।
[আরও পড়ুন: ‘ওনার লেখা কেউ পড়ে না’, ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিবকে কটাক্ষ দিলীপের]
তারপরই এ বিষয়ে পালটা চিঠি দিয়ে তা টুইট করে দেন শিক্ষামন্ত্রী। তাই নিয়েই টুইটে সরব হন রাজ্যপাল। শিক্ষামন্ত্রী চিঠিতে লেখেন, “বিশ্ববিদ্যালয় স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সেখানকার অনুষ্ঠানের দিনক্ষণ নির্ধারণ বা বাতিল করেন উপাচার্যরা। বর্তমান আইন অনুযায়ী, রাজ্য শিক্ষাদপ্তর এসব বিষয়ে প্রায় হস্তক্ষেপ করে না বললেই চলে।” এনআরসি নিয়ে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য, “এনআরসি নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা প্রতিবাদ জানিয়েছে। রাজ্যের মানুষ ও পড়ুয়ারা এই আইনের ঘোর বিরোধী।”
The post রাজ্যপালের দেখানো পথে হেঁটেই প্রশাসনিক স্তরে লেখা চিঠি টুইট শিক্ষামন্ত্রীর appeared first on Sangbad Pratidin.