সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্তমানে অনেকেই ১০-৬টার নিয়মে বাঁধা চাকরিতে উৎসাহ পান না। এমনিতেও এ দেশের কর্মসংস্থানের অবস্থা তেমন আশাপ্রদ নয়। অনেক শিক্ষিত যুবক-যুবতীই চাকরি পেতে সরকারি-বেসরকারি সংস্থার দরজায় দরজায় ঘুরছেন। কিন্তু এবার কেন্দ্র শিক্ষিত যুবক যুবতীদের জন্য বাড়িতে বসেই রোজগারের এক দুর্দান্ত সুযোগ নিয়ে এসেছে। কী সেই সুযোগ? পড়ুন এই প্রতিবেদনে-
[ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আধার-যোগ বাধ্যতামূলক, গ্রাহকদের জানাল RBI]
‘বাড়িতে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজ করে বিপুল আয়।’ সাধারণত এই কথা নানা বিজ্ঞাপনে দেখতে পাওয়া যায়, যার মধ্যে অধিকাংশই ভুয়ো হয়। কিন্তু এবার খোদ মোদি সরকারই শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের জন্য বাড়িতে বসে আয়ের রাস্তা খুলে দিল। এর জন্য কোনও বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই। দরকার শুধু কম্পিউটার ও স্টেডি ইন্টারনেট। যত শব্দ টাইপ করতে পারবেন, ততই আয় করতে পারবেন। সহজ কথায়, এটি ডেটা এন্ট্রির কাজ।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন সরকারি নথির ডিজিটাইজেশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত বেশ কয়েক বছর ধরেই কেন্দ্রের লক্ষ্য, সব নথিকেই ‘ডিজিটাল ডকুমেন্ট’ হিসাবে একটি সেন্ট্রাল সার্ভারে আপলোড করে রাখা। কিন্তু এতদিন সেই নিয়ম খুব একটা কার্যকর হয়নি। অনেক সময় কাজ হয়েছে ঢিমেতালে। নয়তো কোনও নথিকে স্ক্যান করে ইমেজ ফাইল হিসাবে আপলোড করে রাখা হয়েছে। এর ফলে পরে ‘সার্চ’ করতে গিয়ে সেই তথ্য মেলেনি। প্রতিটি দপ্তরের নথিগুলি ডিজিটাল ফরম্যাটে তৈরি করতে কেন্দ্র কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে। কিন্তু তাতে লাভ বিশেষ হয়নি। তাই এবার কেন্দ্র এক নয়া পরিকল্পনা নিয়ে এসেছে। দেশবাসীকে এক বিপুল কর্মযজ্ঞে শামিল হতে ডাক দিচ্ছে মোদি সরকার। ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের অধীনে শুরু হয়েছে ‘ডিজিটাইজ ইন্ডিয়া প্ল্যাটফর্ম’ বা DIP। এই প্রকল্পের অধীনে শিক্ষিত, কম্পিউটারে স্বাচ্ছন্দ্য যুবক-যুবতীদের বিপুল আয়ের সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সরকারি নথি থেকে ‘ডেটা এক্সট্র্যাক্ট’ করলে মিলবে অর্থ।
কীভাবে আয় করতে পারবেন?
সবার আগে আপনাকে https://digitizeindia.gov.in/signup ওয়েবসাইটে গিয়ে সাইন আপ করতে হবে। এখানে দরকার আপনার পুরো নাম, জন্মতারিখ, ইমেল, মোবাইল নম্বর, আধার নম্বর এবং ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর। সাইন আপ করার পর আপনাকে আপনার অ্যাকাউন্টে ঢুকতে হবে। প্রোফাইল ভেরিফিকেশন করাতে হবে। মনে রাখতে হবে, এখান থেকে আয় করার জন্য আপনার আধারের সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টকে ‘লিঙ্কড’ থাকতে হবে। এই সব হয়ে গেলে দেখতে পাবেন মাই অ্যাকাউন্ট-এ একটি ড্যাশবোর্ড রয়েছে। ওয়েবসাইটে যেভাবে বলা হয়েছে, সেভাবে ডেটা এন্ট্রির কাজ শুরু করতে হবে। আপনার কাজ ‘অ্যাপ্রুভ’ হলে আপনার অ্যাকাউন্টে পয়েন্টস জমা হবে। ৪-৫ দিনের মধ্যে আপনার অ্যাকাউন্টে জমা পয়েন্টসের ভিত্তিতে আপনি রিওয়ার্ড পয়েন্ট পাবেন।
[খরচ বাড়তে চলেছে এয়ারটেল, ভোডাফোন গ্রাহকদের, জানেন কেন?]
প্রতি ক্যারেক্টার পিছু আয় ২ পয়সা করে। টাইপিং স্পিডের উপর ভিত্তি করে আপনি প্রতি ঘন্টায় ২৫০০ পর্যন্ত রিওয়ার্ড পয়েন্টস পেতে পারেন। ২৫০০ রিওয়ার্ড পয়েন্টস মানে ৫০ টাকা। সবমিলিয়ে প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা নির্ভুল টাইপিং করতে পারলে মাসে ৭-৮ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। এই টাকা সরাসরি আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে। কেউ চাইলে এই টাকা সরকারকেও দান করতে পারেন। সরকার সমস্ত নথিকে ডিজিটাল করতে চায়, যাতে ভবিষ্যতে যে কেউ যে কোনও জায়গা থেকে ইন্টারনেটে সার্চ করে সহজেই তাঁর নথি খুঁজে পান। আর তাই এই পোর্টাল নিয়ে এসেছে মোদি সরকার।
The post বাড়িতে বসেই মোটা টাকা আয় করতে চান? পথ দেখাচ্ছে মোদি সরকার appeared first on Sangbad Pratidin.