সুব্রত বিশ্বাস: পুজোর মরশুম সবে শেষ। সামনে দীপাবলি ও ছট উৎসব। এই সময় দূরপাল্লার ট্রেনগুলিতে অত্যধিক ভিড়ের আশঙ্কা করছে রেল। কোভিড (COVID-19) পরিস্থিতিতে সংক্রমণের তীব্র আশঙ্কায় রেলযাত্রীদের নিয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল রেল। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত টিকিট সংরক্ষণ (Reservation) না হলে ট্রেনে চড়তেই পারবেন না যাত্রীরা। কনফার্ম টিকিটের যাত্রীরাই একমাত্র স্টেশনে প্রবেশাধিকার পাবেন। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রেলের তরফে।
আনলক পর্ব (Unlock) শুরু হওয়ার পর, গত ৫ মাসে রেলযাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। ট্রেনের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাহিদা তুঙ্গে। এর মধ্যে উৎসবের মরশুম হওয়ায় রেল দেশজুড়ে প্রায় ২০০টি পুজো স্পেশ্যাল ট্রেন চালু হয়েছে। আনলক পর্যায়ে চাহিদা বাড়ায় আরএসি ও ওয়েটিং লিস্টে থাকা যাত্রীদের ট্রেনে চড়ার অনুমতি দিচ্ছিল রেল। কিন্তু উৎসবের মরশুমে (Festive Season) অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে এই শিথিলতা তুলে দেওয়া হল। একমাত্র কনফার্ম টিকিটের যাত্রীদেরই ট্রেনে সফর করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: স্কুলে হবে ভ্যাকসিন বুথ, করোনা টিকা বণ্টনে পরিকল্পনা কেন্দ্রের]
রেল বোর্ড নির্দেশে জোনাল রেলওয়েগুলিকে জানিয়েছে, দুর্গাপুজো দিয়ে উৎসবের সূচনা হলেও দীপাবলি, ছট-সহ বেশ কিছু উৎসব রয়েছে পরপর। এগুলিকে কেন্দ্র করে দূরপাল্লার ট্রেনগুলিতে ভিড় বাড়বে অস্বাভাবিক হারে। কিন্তু এখনও কোভিড সংক্রমণের বিপদ কাটেনি। ফলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাটা অত্যন্ত জরুরি। এই প্রেক্ষিতে ট্রেনের অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে টিকিট কনফার্ম ছাড়া কাউকেই ট্রেনে চড়তে দেওয়া হবে না। এর জন্য রেলপথের প্রান্তিক দুই স্টেশনে অর্থাৎ যেখান থেকে ট্রেন ছাড়ছে এবং যেখানে পৌঁছচ্ছে, সেখানে কড়া নজরদারি রাখা হবে।
[আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে উপনির্বাচনের প্রচারে নিষেধাজ্ঞার উপর স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের]
উত্তর ভারত, বিহার, উত্তরপ্রদেশের উপর দিয়ে চলাচলকারী ট্রেনগুলিতে বেশি মাত্রায় ভিড় হতে পারে। হাওড়া, শিয়ালদহ, কলকাতা স্টেশনগুলি থেকে সংশ্লিষ্ট যাত্রাপথের দিকে ভিড়ের আশঙ্কা করা হয়েছে। তাই এই তিন স্টেশনে আগামী এক মাস কড়া নজর রাখবে আরপিএফ।