সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেড থেকে পড়ে যাওয়া রোগিণীর মৃত্যুতে উত্তপ্ত নিউ আলিপুরের নার্সিংহোম চত্বর। মৃত গৃহবধূর নাম শর্বাণী মজুমদার। গোটা ঘটনায় শোকে বিহ্বল গৃহবধূর পরিজনেরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। অভিযোগ, হাসাপাতালের গাফিলতিতেই শর্বাণীদেবীর মৃত্যু হয়েছে। এই ভয়াবহ পরিণতির সাজা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পেতেই হবে।
জানা গিয়েছে, সামান্য জ্বর নিয়ে নিউ আলিপুরের আরোগ্য নার্সিংহোমে ভরতি হয়েছিলেন শর্বাণী মজুমদার। গত শুক্রবার তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। রবিবার রাতে বেড থেকে পড়ে যান তিনি। অভিযোগ, সেই সময় ওই গৃহবধূর দেখভালের জন্য কর্তব্যরত নার্স সেখানেই ছিলেন। তবে তিনি ঘুমিয়ে পড়ায় কিছুই জানতে পারেননি। এদিকে বেড থেকে পড়ে যাওয়াতে মারাত্মক আঘাত পান ওই গৃহবধূ। যত না অসুস্থ ছিলেন তার থেকে বেশি আঘাত পান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নার্সিংহোমের আইসিইউ-তে শিফট করা হয় তাঁকে। রবিবার থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন ওই গৃহবধূ। তবে সুস্থ হওয়ার বদলে উত্তরোত্তর অসুস্থতা বাড়ছিল। পাল্লা দিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছিল পরিবারের। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগিণীর অসুস্থতা সম্পর্কিত সঠিক তথ্য পরিবারকে দেয়নি বলে অভিযোগ। এরমধ্যে বুধবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিজনরা। গোটা ঘটনায় হাসপাতালের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তাঁরা।
[জনপ্রিয়তার চূড়ায় গণপতি বাপ্পা, বাংলার ঘরে ঘরে হিট লাড্ডুর মূর্তি]
এই প্রসঙ্গে মৃতের এক আত্মীয়া জানিয়েছেন, সামান্য জ্বর যে শেষে মৃত্যু পর্যন্ত গড়াতে পারে ভাবতে পারেননি। পুরোটাই হাসপাতালের গাফিলতিতে হয়েছে। প্রত্যহ দু’হাজার টাকা বেড ভাড়ায় রোগীকে রাখা হয়েছে। অথচ হাসপাতালের যন্ত্রাংশতেই রয়েছে গলদ। বেডের স্ক্রু ঢিলা হয়ে গিয়েছে, পরীক্ষা করে দেখার লোক নেই। নার্সের উপস্থিতিতে রোগী বেড থেকে পড়ে গেলেন। আইসিইউতে এমন চিকিৎসা হল যে রোগীর মৃত্যুই হল। শর্বাণীদেবীর দুটি শিশুসন্তান রয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে মা-হারা হল দুই খুদে। তাঁদের পরিবারে এই বিপর্যয়ের দায়ভার হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষের। ইতিমধ্যেই হাসপাতালের গাফিলতিতে বেহালা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কর্তৃপক্ষকে শাস্তি দিতে যা করার সবটাই করবেন গৃহবধূর পরিজনরা।
[কোন ইস্যুতে বাংলা দাপাবে বিজেপি? রাজ্য কমিটির বৈঠকে শুরু প্রস্তুতি]
The post হাসপাতালের গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, বিক্ষোভ পরিবারের appeared first on Sangbad Pratidin.