সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণীর চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যুর জের। প্রতিবাদে শামিল রাজ্যের বহু সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। সকাল থেকে আউটডোরের সামনে ঝুলছে নোটিস। স্বাভাবিকভাবেই ব্যাহত চিকিৎসা পরিষেবা। তার ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিপাকে দূরদূরান্ত থেকে চিকিৎসা করাতে আসা রোগী ও রোগীর পরিবারের লোকজনেরা।
শনিবার সকাল থেকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে টিকিট কাউন্টারে তালা। কর্মবিরতিতে চিকিৎসকরা। তাই সকাল থেকে আউটডোরে চিকিৎসা করাতে এসে চরম ভোগান্তির শিকার রোগী ও রোগীর পরিবারের লোকজন।
[আরও পড়ুন: সূত্র ব্লু টুথের ছেঁড়া তার, আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুতে পুলিশের জালে ১]
একই অবস্থা রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও। কেউ এসেছিলেন টেস্ট করাতে, আবার কারও সন্তানের পা ভেঙে গিয়েছে। চিকিৎসা করাতে এসে জানতে পারেন আর জি কাণ্ডের প্রতিবাদে কর্মবিরতিতে শামিল রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা। নজরে পড়ে আউটডোরে ঝুলছে কর্মবিরতির নোটিস। জরুরি এবং প্রসূতি বিভাগ ছাড়া কোথাও হচ্ছে না চিকিৎসা। তার ফলে ভোগান্তির শিকার রোগী ও রোগীর পরিবারের লোকজন।
প্রতিবাদে শামিল সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা। সেখানেও আউটডোরে আসছেন না চিকিৎসকদের একাংশ। তার ফলে দূরদূরান্ত থেকে চিকিৎসা করাতে এসেও ফিরে যেতে হচ্ছে রোগীদের।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার ছিল। সেই সময় তাঁর পোশাক ছিল অবিন্যস্ত। দেহের নিচের অংশে পোশাক ছিল না। রাতেই টালা থানার পুলিশ ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে খুনের মামলা দায়ের করেছে। খুনের আগে চিকিৎসককে ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা তা তদন্ত করে দেখছে লালবাজারের গঠিত ‘সিট’। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকে আটক করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে সঞ্জয় রায় নামে ওই ব্যক্তি হাসপাতালে কর্তব্যরত হোমগার্ড। এই ঘটনার প্রতিবাদে সর্বত্র আছড়ে পড়েছে সমালোচনার ঝড়।