স্টাফ রিপোর্টার: ফের অমানবিকতার নজির কলকাতার (Kolkata) সরকারি হাসপাতালে। মুর্শিদাবাদ থেকে হাতের চোটের চিকিৎসা করতে এসে টানা পাঁচদিন খোলা আকাশের তলাতেই কাটাতে হল রোগীকে। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, বেড পাওয়া তো দূরের কথা, প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু মেলেনি রোগীর। হাতের ক্ষতস্থানে পোকা ধরতে শুরু করেছে। শেষ খবর অনুযায়ী, রোগীর চিকিৎসা শুরু করেছে এসএসকেএম হাসপাতাল (SSKM Hospital)।
২ আগস্টের কথা, বাড়িতে পড়ে গিয়ে ডান হাতের কবজি, বাঁ পায়ে চোট পেয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের শত্রুঘ্ন রায়। সেখান থেকেই চিকিৎসা পাওয়ার আশায় ছুটে এসেছিলেন এসএসকেএমে। কিন্তু শহরের সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে বেড পাননি তিনি। তারপর থেকে পড়ে ছিলেন জরুরী বিভাগের বাইরে। মেলেনি চিকিৎসা।
[আরও পড়ুন: সংযুক্ত মোর্চা স্রেফ নির্বাচনী জোট, দীর্ঘমেয়াদি নয়, বঙ্গ CPM-কে সাফ জানাল কেন্দ্রীয় কমিটি]
প্রসঙ্গত গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হয়েছে শহরে। সেই বৃষ্টিতে ভিজে হাতের ক্ষততে পচন ধরেছে। শনিবার অর্ধমৃত অবস্থায় রোগীকে পড়ে থাকতে দেখে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এদিন জানিয়েছে, বেড ছিল না। সে কারণেই রোগীকে ভরতি নেওয়া যায়নি। তবে অবস্থা সঙ্গিন দেখে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, রোগীর পরিবারের অভিযোগ, ৫ দিন ধরে হাসপাতালের বাইরে পড়ে আছে রোগী। অথচ কোনও চিকিৎসাই দেয়নি হাসপাতাল। রোগীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর বোন। রোগীর বোন জানান, মুর্শিদাবাদে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভাল নয় বলেই এসএসকেএম-এ নিয়ে আসতে হয়েছে, আর সেখানে এসে এ ভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন তাঁরা। অবশেষে শনিবার তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়েছে। কিন্তু এ ধরনের ঘটনা ফের একবার শহরের অমানবিক চিত্রটা তুলে ধরল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।