সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এমনও হয়! একজন রোগী, যার নিজে হেঁটে শৌচালয় পর্যন্ত যাওয়ার ক্ষমতা নেই, সে কিনা হাসপাতাল থেকে বেমালুম উধাও হয়ে গেল। কাকপক্ষীও টের পেল না। টানা ছ’দিন নিরুদ্দেশ থাকার পর ফের তাঁকে পাওয়া গেল কলকাতা শহরেরই অন্য এক হাসপাতালে। এমন ঘটনাই ঘটেছে হরি নস্করের সঙ্গে।
এম আর বাঙুর হাসপাতালে বেশ কিছুদিন ধরে ভরতি ছিলেন বৃদ্ধ হরি নস্কর। জানা গিয়েছে, ভালরকমই অসুস্থ ছিলেন হরি। নিজের কাজ তিনি নিজে ঠিকমতো করতে পারতেন না। এমনকী প্রয়োজন পড়লে শৌচালয়েও যেতে পারতেন না। কিন্তু ২২ জুন হঠাৎই তিনি নিরুদ্দেশ হয়ে যান হাসপাতাল থেকে। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। কিন্তু ছ’দিন পেরিয়ে গেলেও হরি নস্করের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। হন্যে হয়ে খুঁজেছেন রোগীর আত্মীয়রা। তাঁদেরও হতাশ হতে হয়েছে। রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা পুলিশ, কেউই ঘটনার কোনও সুরাহা করতে পারেনি। আচমকা বৃহস্পতিবার রাতে এসএসকেএমে খোঁজ মেলে হরির। রবীন্দ্র সরোবর থানা থেকে আত্মীয়রা জানতে পারেন, এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন তিনি।
[ আরও পড়ুন: ৮০০ কোটি টাকার সম্পত্তি শুনে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, ধৃত পারিবারিক বন্ধু ]
২২ জুন বাঙুর হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন বৃদ্ধ হরি নস্কর। জানা যায়, সেই দিন থেকেই নাকি এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন তিনি। কে বা কারা তাঁকে ভরতি করিয়েছেন, তা নিয়ে কোনও তথ্যই এখনও পর্যন্ত যানা যায়নি। প্রশ্ন উঠছে, এমন এক বৃদ্ধ রোগী নিজে হেঁটে তো আর বাঙুর হাসপাতাল থেকে এসএসকেএমে আসতে পারে না। তাহলে কে তাঁকে ভরতি করল, কেনই বা সেই ব্যক্তি হরি নস্করকে বাঙুর হাসপাতাল থেকে নিয়ে এল, এসব ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি। রোগীর আত্মীয়দের আরও অভিযোগ, বাঙুর হাসপাতাল থেকে যদি কেউ হরি নস্করকে নিয়ে আসে বা তিনি নিজে চলে আসেন, তাহলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানতে পারল না কেন?
ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন রোগীর পরিবারের লোকেরা। হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ চালান তাঁরা। ঘটনার খবর পৌঁছায় রাষ্ট্রীয় নাগরিক মঞ্চের কাছে। রোগীর পরিবারের পাশাপাশি তারাও তদন্তের আরজি জানিয়েছে। তবে পুলিশ এখনও এনিয়ে স্পষ্ট কিছু জানাতে পারেনি।
[ আরও পড়ুন: ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের মৃত্যু ক্যানসারে! নয়া তথ্য পুরসভার নথিতে ]
The post বাঙুর হাসপাতালে নিখোঁজ রোগীর সন্ধান এসএসকেএমে, তদন্তের দাবি পরিবারের appeared first on Sangbad Pratidin.