অভিরূপ দাস: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। এবার ঘটনাস্থল একবালপুর। অবশেষে এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ভরতি করা হয়েছে ওই রোগীকে। মুখ্যমন্ত্রী বারবার রাজ্যের হাসপাতালের পাশাপাশি নার্সিংহোমগুলিকেও সতর্ক করেছে। বলেছেন, স্বাস্থ্যকার্ড প্রত্যেককে নিতেই হবে। তা সত্ত্বেও এহেন ঘটনায় ক্ষুব্ধ রোগীর পরিবার।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) তারাপদ বাঁধ এলাকার বাসিন্দা অতনু শিট। বয়স ১৬। রবিবার বিকেলে বাড়ির সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছিল সে। সেইসময় পিছন দিক থেকে একটি মোটর ভ্যান অতনুর হাঁটুতে ধাক্কা দেয়। যন্ত্রনায় ছটফট করতে থাকে ওই কিশোর। তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কাকদ্বীপ হাসপাতালে। সেখানে ডাক্তাররা জানান, অতনুর অস্ত্রোপচার করতে হবে। কিন্তু ওই মুহূর্তে ওই হাসপাতালে তা সম্ভব নয়। এরপর কিশোরকে নিয়ে যাওয়া হয় ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসক না থাকায় কলকাতায় রেফার করা হয় অতনুকে। প্রথমে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। সেখানে অর্থোপেডিক বিভাগে বেড খালি না থাকায় ভরতি করা যায়নি রোগীকে। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএমে। সেখানেও একই সমস্যা। বাধ্য হয়ে ছেলেকে একবালপুর নার্সিংহোমে নিয়ে যায় বাবা শ্রীকান্ত শিট। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানান, অতনুর কিডনিতে চোট লেগেছে। পরিবারের তরফে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দিয়ে চিকিৎসা শুরুর কথা বলতেই বেঁকে বসে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।
[আরও পড়ুন: সুষ্ঠুভাবে বিধানসভা ভোট করার আরজি, জাতীয় ভোটার দিবসে টুইটে প্রশাসনকে বার্তা ধনকড়ের]
অতনুর বাবার অভিযোগ, নার্সিংহোমের তরফে সাফ জানানো হয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তারা নিচ্ছে না। দাবী করা হয় ১ লক্ষ টাকা। এই নিয়েই বচসায় জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। অবশেষে ছেলেকে এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে নিয়ে যান শ্রীকান্তবাবু। জানা গিয়েছে, বর্তমানে সেখানেই ভরতি রয়েছে অতুন। এদিকে একবালপুর হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে রোগীর পরিবার।