সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে ২,০৫২.২২ কোটি টাকা জমা দিতে হবে সাহারা কর্ণধার সুব্রত রায়কে। আর সেটা না করলে তাঁকে ফের তিহার জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের নির্দেশে একথাই জানিয়েছে। পাশাপাশি আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত সুব্রত রায়ের প্যারোলের আবেদন মঞ্জুর করেছে।
[‘সুকমা-শহিদদের ট্রাককে থামতে হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী নীতিশের কনভয়ের জন্য’]
জানা গিয়েছে, এদিন আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলার শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন সুব্রত রায় স্বয়ং। সেখানেই তিনি জানান ২,০৫২.২২ কোটি টাকা খুব দ্রুতই চেকের মাধ্যমে জমা দেবেন তিনি। এরপরেই বিচারক দীপক মিশ্রের বেঞ্চের পক্ষ তাঁকে বলা হয়, ‘আমরা আপনাকে সতর্ক করে দিচ্ছি, চেকগুলিতে এদিক-ওদিক কিছু হলেই সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে তিহার জেলে পাঠানো হবে।’ সাহারা কর্ণধার আরও বলেন, আগামী ১৫ জুনের মধ্যে তিনি প্রথম কিস্তিতে ১৫০০ কোটি টাকা সেবি-সাহারা অ্যাকাউন্টে জমা দেবেন। বাকি ৫৫২.২২ কোটি টাকা ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দেবেন। তবে এদিন প্যারোলের মেয়াদ বাড়ালেও ১৯ জুন ফের শীর্ষ আদালতে হাজিরা দিতে হবে সুব্রত রায়কে। এর মধ্যে যদি প্রথম কিস্তির ১৫০০ কোটি টাকা জমা না দেন সুব্রত রায়, তাহলেই তাঁকে ফের তিহার জেলে পাঠানো হবে।
[মুক্তি পেল ‘রাবতা’র টাইটেল ট্র্যাক, দেখুন ‘hotiee’ দীপিকাকে]
এদিন সুব্রত রায়ের আইনজীবী কপিল সিব্বল আদালতের কাছে সাহারা কর্ণধারের লোনাভলার অ্যাম্বি ভ্যালি রিসর্টটি নিলামে তোলার ব্যাপারটি আবারও বিবেচনা করার আবেদন করেন। শীর্ষ আদালত সঙ্গেই সেটি খারিজ করে দেন। প্রসঙ্গত, লোনাভলায় অবস্থিত সুব্রত রায়ের অ্যাম্বি ভ্যালি রিসর্টটির মূল্য ৩৪ হাজার কোটি টাকা। বহুদিন ধরেই সাহারা কর্ণধার সুব্রত রায়ের কাছ থেকে বিনিয়োগকারীদের ২৪ হাজার কোটি টাকা উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট। ইতিমধ্যে ১২ হাজার কোটি টাকা দিলেও বাকিটা এখনও জমা দেননি তিনি। বহুবার সময় দেওয়া সত্ত্বেও সুব্রত রায় সেই ‘ডেডলাইন’-এর মধ্যে টাকা দিতে পারেনি। আর সেকারণেই তাঁর অ্যাম্বি ভ্যালি রিসর্টটি নিলামে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আদালত। এরপরেই এদিনের এই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।