সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১০ বছর পর অবশেষে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে কমিশন। ফলে ভোটের তাপে পুড়ছে গোটা উপত্যকা। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই শনিবার নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করল পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। যেখানে দলেন প্রধান মেহবুবা মুফতি জম্মু ও কাশ্মীরবাসীর জন্য একাধিক প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি দাবি করলেন, তাঁরা ক্ষমতায় এলে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য পথ ফের খুলে দেওয়া হবে।
পিডিপির প্রকাশিত ইস্তেহারে জানানো হয়েছে, তারা ক্ষমতায় ফিরলে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে হিন্দু তীর্থস্থান শারদাপীঠে যাওয়ার রাস্তা পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে দেবে। পাক অধিকৃত কাশ্মীর হয়ে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত বাণিজ্য পুনরায় চালু করা হবে। ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর এই পথ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয় কেন্দ্রের তরফে। স্বাভাবিকভাবেই পিডিপি ক্ষমতায় এলে সেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পথ খুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি করেছে। এছাড়াও পিডিপির ইস্তেহারে বলা হয়েছে তারা ক্ষমতায় এলে বিনামূল্যে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ও পুরানো পেনশন ব্যবস্থা ফের চালু করা হবে, জলের মিটার তুলে দিয়ে জলের কর প্রত্যাহার, আফস্পা প্রত্যাহার, জম্মু ও কাশ্মীর মানবাধিকার কমিশন গঠন, স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য জমি ও কাজের অধিকার রক্ষার মতো একাধিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: নয়া পেনশন নীতিতে সিলমোহর কেন্দ্রের, কেমন সুবিধা পাবেন অবসরপ্রাপ্তরা?]
ইস্তেহার প্রকাশের পাশাপাশি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট জল্পনা নিয়েও শর্ত চাপিয়েছেন দলের প্রধান মেহবুবা মুফতি। তিনি বলেন, কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স নির্দিষ্ট কোনও লক্ষ্য সামনে রেখে জোট করেনি। শুধুমাত্র আসন বোঝাপোড়ার ভিত্তিতে জোট করেছে এই দুই দল। ফলে তাদের জোটে তিনি যে যোগ দেবেন না সে কথাও স্পষ্ট করে দেন মেহবুবা। মেহবুবা বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য একদম পরিষ্কার। সেটা হল জম্মু ও কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করা।' তিনি আরও জানান, 'আমাদের অ্যাজেন্ডার সঙ্গে সহমত হলে ন্যাশনাল কনফারেন্স ও কংগ্রেস লড়ুক, আমরা কোনও আসনে লড়ব না। আগে যখন আমরা বিজেপির সঙ্গে জোটে ছিলাম, তখনও অ্যাজেন্ডা নিয়েই ছিলাম।'
[আরও পড়ুন: অনুপ্রেরণা অজয়ের ‘দৃশ্যম’, সম্পত্তি বিবাদে ব্যবসায়ীকে খুন প্রাক্তন পুলিশকর্মীর!]
উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হবে তিন দফায়। সেপ্টেম্বরের ১৮ তারিখ শুরু হয়ে তা চলবে ১ অক্টোবর অবধি। ফল ঘোষণা অক্টোবরের ৪ তারিখ। এই নির্বাচন উপলক্ষে ইতিমধ্যেই কংগ্রেস এবং এনসি-র মধ্যে জোট চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। তবে গত লোকসভা নির্বাচনের মতোই এই জোটে নেই ‘ইন্ডিয়া’র শরিক দল পিডিপি।