সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকা সফরের প্রাক্কালে চিনকে কড়া বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সীমান্তে শান্তি ফিরলে তবেই চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে বলে সাফ জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
গালওয়ান সংঘাতের পর থেকেই চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠেছে। সীমান্তে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করে রেখেছে দু’দেশই। বিগত দিনে, লাদাখ থেকে শুরু করে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত আগ্রাসী হয়ে উঠেছে লালফৌজ। পালটা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরাও। ভারত মহাসাগরেও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে চিনা নৌসেনা। এহেন পরিস্থিতিতে মোদির আমেরিকা সফর রীতিমতো গুরুত্বপূর্ণ। স্বাভাবিক ভাবেই কৌশলগত কারণে ঘটনাবলির উপর কড়া নজর রাখছে চিনও।
বিশ্লেষকদের মতে, ভারত-আমেরিকা যুগলবন্দি চিনের মাথাব্যথার কারণ। অত্যাধুনিক মার্কিন অস্ত্রে আরও বলীয়ান হয়ে উঠবে ভারতীয় ফৌজ বলেই আশঙ্কা বেজিংয়ের। উল্লেখ্য, আজই দিল্লি থেকে আমেরিকার উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ঠিক তার আগেই চিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ” আমরা সর্বদাই পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও শান্তি বজায় রাখায় বিশ্বাস করি। সমস্ত আইন ও নিয়ম মেনে যে কোনও সমস্যা বা বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে চাই। কিন্তু সীমান্তে শান্তি ফিরলে তবেই দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে।”
[আরও পড়ুন: ‘চিনের উত্থান রুখতে ভারতকে হাতিয়ার করছে আমেরিকা’, মোদির সফরের আগেই তোপ বেজিংয়ের]
উল্লেখ্য, ভারতীয় সময় মতে আজ রাত দেড়টা নাগাদ ওয়াশিংটনের অ্যান্ড্রস বায়ুসেনা ঘাঁটিতে নামবে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিমান। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত থাকবেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকদের অনেকেই। মোদির তিনদিনের এই সফরসূচী শুরু হবে নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সদর দপ্তর থেকে। আগামী কাল ২১ জুন, সেখানে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি। রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ জানিয়েছেন, রাষ্ট্রসংঘের সদর দপ্তরে মহাত্মা গান্ধীর আবক্ষ মূর্তিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি।