পিয়ারলেস: ২ (ক্রোমা)
জর্জ: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন অবিশ্বাস্য রূপকথা। শেষবার যা হয়েছিল ১৯৫৮ সালে। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান-মহামেডান ময়দানের তিন মহারথীকে হারিয়ে ঘরোয়া লিগের খেতাব গিয়েছিল ইস্টার্ন রেলের হাতে। বড় কোনও অঘটন না ঘটলে এবারেও সেই ইতিহাসের সাক্ষী থাকতে চলেছে কলকাতা ময়দান। লিগের অতি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জর্জকে হারিয়ে খেতাব প্রায় পকেটে পুরে ফেলল জহর দাস এন্ড কোম্পানি। বড় কোনও অঘটন না ঘটলে ইস্টবেঙ্গলের শেষ খেলার দিনই চ্যাম্পিয়নশিপের খেতাব হাতের মুঠোয় চলে আসবে জহর দাসের ছেলেদের। আজ মাঠে জল জমে ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ বাতিল না হয়ে গেলে হয়তো আজই লিগ জয় নিশ্চিত হয়ে যেত ক্রোমাদের।
[আরও পড়ুন: মাঠ না পুকুর? জল জমায় বাতিল ইস্টবেঙ্গল-কাস্টমস ম্যাচ ]
মরশুমের শুরু থেকেই এবছর অন্যরকম দেখাচ্ছিল ক্রোমা, অ্যান্টনি উলফদের। কলকাতার দুই প্রধানকে হারিয়ে লিগ জয়ের রাস্তা আগেই মসৃণ করে ফেলেছিল পিয়ারলেস। তবুও, শেষদিকে মহামেডানের কাছে হার, চিন্তায় ফেলে দেয় ক্রোমাদের। চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত করতে, আজকের ম্যাচ জিততেই হত পিয়ারলেসকে। সেইমতো উদ্যম নিয়েই নেমেছিলেন জহর দাসের ছেলেরা। তাদের অদম্য জেদ আর শৈলীর কাছে এদিন আনায়াসেই হার মানে জর্জ টেলিগ্রাফ। মরশুমের শুরু থেকেই যিনি নিজ দায়িত্বে দলকে এতদূর এনেছেন, সেই ক্রোমাই এদিন ত্রাতা হলেন পিয়ারলেসের। খেলার দুই অর্ধে দুটি দুর্দান্ত গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করলেন ময়দানের স্বঘোষিত মেসি। সেই সঙ্গে কলকাতা লিগে নিজের আধিপত্য সুপ্রতিষ্ঠিত করে ফেললেন প্রাক্তন মোহনবাগান স্ট্রাইকার।
[আরও পড়ুন: দুর্ঘটনায় আহত মোহনবাগান সমর্থকের পাশে ক্রোমা, আর্থিক সাহায্যের অঙ্গীকার ]
কলকাতার তিন প্রধানের বাইরে শেষবার লিগ জিতেছিল পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্টার্ন রেল। সেটা ১৯৫৮ সাল। ৬১ বছর পরে আবার সেই রূপকথার গল্পের অংশীদার হওয়া কার্যত নিশ্চিত ক্রোমাদের। অপেক্ষা শুধু ইস্টবেঙ্গলের শেষ ম্যাচের। নিজেদের শেষ ম্যাচে লাল-হলুদ যদি ৬ বা তাঁর কম গোলে জেতে তাহলেই এই মরশুমের কলকাতা লিগের চ্যাম্পিয়ন হবে জহর দাসের পিয়ারলেস। ময়দানের তিন প্রধানের ভিড়ে যা একপ্রকার অকল্পনীয় এবং অবিশ্বাস্য। এই অবিশ্বাস্য কাজটিই করে ফেলল ক্রোমা, উলফ, জিতেন মুর্মুরা। এর সিংহভাগ কৃতিত্ব অবশ্যই ক্রোমার প্রাপ্য।
The post চ্যাম্পিয়ন হওয়া সময়ের অপেক্ষা, জর্জকে হারিয়ে ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে পিয়ারলেস appeared first on Sangbad Pratidin.