সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছেলের জন্য কাপে কফি ঢেলে দিচ্ছেন মা। ১৯৫৯ সালের পেলে ও তাঁর মায়ের ছবি।মায়ের জন্য গিটার বাজাচ্ছেন ফুটবলসম্রাট। এমন ছবিও রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আরও একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে মাকে জড়িয়ে রয়েছেন ছেলে পেলে। উপরের দু’টি ছবির সঙ্গে এই ছবির সময়ের ব্যবধান অনেক। ছবি দেখলেই তা বোঝা যাবে।
জীবন অনেক বড়। টুকরো টুকরো কত ছবি আঁকা হয়ে যায় এ জীবনে। দীর্ঘ এ জীবনে শোক-দুঃখ-আনন্দ মিলে মিশে এক হয়ে যায়। মা-ছেলের মিলনান্তক দৃশ্যের পাশাপাশি বিয়োগান্তক ছবিও যে ফ্রেমে ধরা পড়ে।
[আরও পড়ুন: ভামিকাকে সঙ্গে নিয়ে দুবাইয়ে বছরের শেষ সূর্যোদয়ের সাক্ষী বিরাট-অনুষ্কা, দেখুন ছবি]
সবুজ মাঠ আজ সম্রাটহীন। তাঁর শতায়ু মা সেলেস্তে অ্যারান্টেস শয্যাশায়ী। শেষযাত্রায় মায়ের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে সম্রাটের নশ্বর দেহ। জীবদ্দশাতেই মাকে দেখে যেতে হল বিখ্যাত ছেলের প্রয়াণ।
বছর শেষের মাহেন্দ্রক্ষণ উপস্থিত। গত মাসেই একশো ছুঁয়েছেন পেলের মা সেলেস্তে। সেই সময়ে পেলে লিখেছিলেন, ”মা সেলেস্তের একশো বছর উদযাপন করছি।” মায়ের কথা হৃদয় দিয়ে লিখেছিলেন সম্রাট। খুব ছোটবেলায় ভালবাসা ও শান্তির মূল্যবোধ শিখেছিলেন মায়ের কাছ থেকেই। এমন মায়ের সন্তান হওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের জন্য একশোরও বেশি কারণ রয়েছে।
আজ সব ইতিহাস। নস্ট্যালজিক হয়ে পড়ছেন পেলে-ভক্তরা। পেলের মাকে বর্যসেরা ব্রাজিলীয় মায়ের সম্মান দেওয়া হয়েছিল। অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে ১৯৬৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপ শুরুর আগের ঘটনা। টেরেসোপোলিসে অনুশীলন করছিল জাতীয় দল। পেলের মা কাউকে কিছু না জানিয়ে চলে এসেছিলেন সেই জায়গায়। মা এসেছেন জানতে পেরে ছুটে চলে যান সেলেস্তের কাছে।
সেলেস্তে ১৯২২ সালে ট্রেস কোরাকোসে জন্মগ্রহণ করেন। পেলে যখন শিশু, সেই সময়ে বাউরুতে চলে যান তিনি। পরে স্যান্টোসে গিয়ে থাকতে শুরু করেন মা সেলেস্তে।
অন্তিমযাত্রায় মায়ের বাড়ি হয়েই সমাহিত হবেন পেলে। শেষবারের জন্য স্নেহচুম্বনে ছেলেকে বিদায় জানাবেন মা।