সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একসঙ্গে ছ’টি যুদ্ধে লড়াই করার প্রস্তুতি নিচ্ছে চিন (China)। সেই মতো নিজের অস্ত্রভাণ্ডার বাড়াচ্ছে তারা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি রিপোর্ট বলছে, দ্রুত নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা বাড়াচ্ছে লালফৌজ। ২০৩০ সালের মধ্যে নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডারে এক হাজারের বেশি পারমাণবিক অস্ত্র (Nuclear Warheads) মজুত করতে চাইছেন শি জিনপিং।
আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ‘Military and Security Developments Involving the People’s Republic of China 2021’ শীর্ষক রিপোর্টে চিনের অস্ত্রভাণ্ডার সম্পর্কে বিস্তৃত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পদাতিক, নৌ সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যাও বাড়াচ্ছে চিন। তাদের টার্গেট, ২০৩০ সালের মধ্যে এক হাজার পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা।
[আরও পড়ুন: মস্কোকে আরও কাছে টানতে তৎপর নয়াদিল্লি, নভেম্বরে ভারত-রাশিয়া ‘টু প্লাস টু’ কথা]
উল্লেখ্য, গত বছর এই মন্ত্রকের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০০ পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হবে চিন। এবারের রিপোর্ট সেই পূর্বাভাস মিথ্যে বলে প্রমাণিত হল। আর এই পূর্বাভাস সত্যি হলে চিন্তা বাড়বে ভারতের। কারণ, অন্য একটি সংস্থার রিপোর্ট বলছে, পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যার নিরিখে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে ভারত।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট সম্প্রতি ২০২০ সালে বিশ্বের পরমাণু শক্তিধর দেশগুলির একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। যাতে দাবি করা হয়েছে, ২০২০’র জানুয়ারি মাসের হিসেবে পাকিস্তান এবং চিনের হাতে ভারতের থেকে বেশি পরমাণু অস্ত্র আছে। SIPRI-র প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে ভারতের হাতে পরমাণু অস্ত্র আছে ১৫০টি। পাকিস্তানের হাতে আছে ১৬০টি। চিন এই দুই দেশের থেকে অনেক এগিয়ে। তাঁদের হাতে পরমাণু অস্ত্র আছে ৩২০টি। তবে কোন দেশের অস্ত্রভাণ্ডার বেশি শক্তিশালী, তা জানায়নি সুইডেনের সংস্থাটি।
[আরও পড়ুন: রাশিয়ায় ভেঙে পড়ল পণ্যবাহী বিমান, মৃত কমপক্ষে ৯]
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, চিন তার বহু প্রত্যাশিত পরমাণু ত্রয়ী তৈরির কাজে অনেকটা এগিয়েও গিয়েছে। অর্থাৎ স্থলসেনা, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনা, সবাইকেই পরমাণু আক্রমণে সক্ষম করে তুলছে বেজিং। তাৎপর্যপূর্ণভাবে SIPRI-র এই রিপোর্ট এমন এক সময় প্রকাশিত হল, যখন লাদাখ এবং অরুণাচল সীমান্তে আগ্রাসন দেখাচ্ছে চিন। পাকিস্তানও সুযোগ পেলেই কাশ্মীর সীমান্তে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে। সেই সঙ্গে ভারতে জঙ্গি কার্যকলাপ চালানোর গোপন অভিসন্ধি তো আছেই।